বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: আমেরিকার শুল্ক যুদ্ধের মাঝে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে দিয়েছে ভারত। এদিকে দেশের (Bangladesh) কারখানায় গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি সহ নানান জটিলতার মধ্যে ভারতকে শায়েস্তা করতে নিজের ক্ষতি নিজেই করেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূস।
সম্প্রতি, ভারতকে পাল্টা জবাব দিতে প্রতিবেশীর কাছ থেকে স্থলপথে সুতো আমদানি নিষিদ্ধ করেছে ওপার বাংলার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। আর এরপরই বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল শিরদাঁড়া অর্থাৎ পোশাক শিল্প একেবারে হামাগুড়ি দিচ্ছে! সরকারের এমন পদক্ষেপকে একেবারে আত্মঘাতী বলে দাবি করছেন সুতো রপ্তানিকারকরা।
ভারত থেকে সুতো আমদানি বন্ধ করে নতুন বিপদে বাংলাদেশ!
ওপার বাংলার বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে যা খবর, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা হাতছাড়া হওয়ায় এমনিতেই 2000 কোটির অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে বাংলাদেশের। তার ওপর অভিভাবকত্ব ফলাতে গিয়ে স্থলপথে সুতো আমদানি নিষিদ্ধ করেছেন ইউনূস! এহেন আবহে বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারকদের তুলনামূলক অতিরিক্ত দাম দিয়ে দেশীয় সুতো উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে সুতো কিনতে হচ্ছে। সূত্র বলছে, এই উপায় অবলম্বন করা ছাড়া আর দ্বিতীয় কোনও বিকল্প পথ খোলা নেই পোশাক প্রস্তুতকারক গোষ্ঠীগুলির।
বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, ভারত থেকে সুতো আমদানি নিষিদ্ধ করায়, একেবারে বিপাকে পড়েছেন রপ্তানিকারাও। জানা যাচ্ছে, ওপার বাংলায় 30টি সিঙ্গেল সুতোর দাম প্রতি কেজিতে 3.40 ডলার। ভারতে তা মাত্র 2.90 ডলার। অভিযোগ উঠছে, মূলত স্থল বন্দর গুলিতে পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও নিরাপত্তার অভাব থাকায় ফাঁকি দিতেই মিথ্যে ঘোষণা দিয়েছেন আমদানিকারকরা। সূত্র বলছে, এখন যদি চিন, ভারত, তুরস্ক অথবা উজবেকিস্তানের মতো দেশ গুলির কাছ থেকে সমুদ্রপথে সুতো আমদানি করতে হয় তাতে সময় যেমন লাগবে, তেমনই খরচ হবে আকাশ ছোঁয়া।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমুদ্রপথে সুতো আমদানি করতে গেলে স্থানীয় সুতো ও ভারত থেকে আমদানি করা সুতোর মধ্যে প্রতি কেজিতে অন্তত দামের পার্থক্য থাকবে 20 থেকে 30 সেন্ট। আর এই সমস্যা মাথাচাড়া দেওয়ায় একেবারে লাভের খাতা খুলে বসেছেন বাংলাদেশের বস্ত্রকল মালিকরা। মনে করা হচ্ছে, ভারত থেকে স্থলপথে সুতো আমদানি, বন্ধ হওয়ায় এবার তাঁদের কারখানায় পড়ে থাকা সমস্ত দেশীয় সুতো অধিক দামে বিক্রি হয়ে যাবে।
অবশ্যই পড়ুন: ভরাডুবির মধ্যেই KKR-র জন্য সুখবর! দলে ফিরতে পারেন পুরনো সতীর্থ
প্রসঙ্গত, ভারত থেকে স্থলপথে সুতো আমদানির বিষয়টিকে একেবারে অপরিপক্ক ও বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর বলে দাবি করেছেন রপ্তানিকারক থেকে শুরু করে বহু পোশাক প্রস্তুতকারক। তাদের অধিকাংশেরই দাবি, প্রতিবেশী ভারত থেকে স্থলপথে সুতো আমদানি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি একেবারেই বোকামো! এতে আদতে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |