বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারত থেকে স্থলপথে সুতো আমদানি বন্ধ করে নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মেরেছিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। পরবর্তীতে সেই পথ ধরেই বাংলাদেশের সাথে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে দেয় ভারত। এরপরই দিল্লির তরফে আরও এক ধাক্কা পায় ঢাকা। স্থলপথে বাংলাদেশি পণ্য আমদানি বাতিল করে দেয় কেন্দ্র।
আপাতত সেই চাপ কাটিয়ে উঠতেই হিমশিম খাচ্ছে পদ্মা পাড়ের দেশ। তবে সেই দুর্ভাগ্য সত্ত্বেও প্রতিমুহূর্তে ভারতের বিরুদ্ধে নতুন নতুন অভিযোগ শানাচ্ছেন ওপার বাংলার অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্ত দিয়ে পুশ ইনের অভিযোগ করে চলেছে বাংলাদেশ। এবার তা নিয়েই মুখ খুললেন ওপার বাংলার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
ভারতকে ঠকিয়ে রাখা সম্ভব নয়..
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত থেকে বাস্তবিক অর্থে পুশ ইন ঠেকানো সম্ভব নয়। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান কনস্যুলার পারস্পরিক সংলাপের মাধ্যমে এই সমস্যাকে একটা প্রক্রিয়া অনুযায়ী সমাধান করা যায় কিনা, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এদিন ভারত প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৌহিদ আরও বলেন, ভারত থেকে পুশ ইন হচ্ছে। সেটা ফিজিক্যালি আর ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে ভারতের সাথে চিঠি আদান-প্রদান ও নাকি হয়ে গিয়েছে।
বাংলাদেশের তরফে নাকি জানানো হয়েছে, বেশ কিছু পদ্ধতি মেনে এই কাজ করা যেতে পারে, অন্যদিকে দিল্লির তরফে নাকি বলা হয়, বেশকিছু কেস আটকে রয়েছে, এগুলি নিয়ে ঠিক মতো কাজ করছে না বাংলাদেশ। এরপরই তৌহিদ বলেন, ভারতের তালিকা অনুযায়ী সব বিষয়ে যাচাই করে কিছু মানুষকে ফিরিয়ে আনা যায় কিনা সে বিষয়েও আলোচনা চলছে। ওপার বাংলার পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সংযোজন ছিল, কনস্যুলার সংলাপ ব্যবহার করে বিষয়গুলিকে নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসা যায় কিনা তা নিয়ে চেষ্টা চলছে। এরপর বিষয়টি নিয়মের অধীনে আনতে বাংলাদেশ আরও একটি চিঠি দেবে ভারতকে।
অবশ্যই পড়ুন: IPL তো শেষ, জানেন ট্রফির গায়ে চার শব্দে কী লেখা থাকে? দেখে নিন
নিজের ভুলেই ভারতের কড়া পদক্ষেপের মুখে বাংলাদেশ!
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ওপার বাংলার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, আমার যা মনে হয়, এতে শাপে বর হয়েছে। আসলে ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা অনেকটাই কমে গেছে। তবে এতে বাংলাদেশের তেমন একটা ক্ষতি হচ্ছে না। এখন বাংলাদেশ থেকেই সরাসরি স্পেনে ফ্লাইট যাচ্ছে। ফলে ভারতের বিশেষ সুবিধা বন্ধ হওয়ায় আমাদের যে খুব একটা সমস্যা হয়েছে তেমনটা নয়, বরং ভালই হয়েছে বলা যায়।
এরপরই তৌহিদ বলে বসেন, আমরা আগে সুতো আমদানি বন্ধ করেছি, তারপর ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি মনে করি, আজকাল যে সিদ্ধান্তগুলো আমাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে তার জন্য অনেকাংশে আমরাই দায়ী। আমাদের দেশের মানুষ, দেশের ব্যবসায়ীরা এই ঘটনার জন্য একান্ত ভাবে দায়ী। বিশেষত যারা শ্রম শক্তি রপ্তানি করে থাকে। এরপরই তৌহিদ বলেন, কই মালয়েশিয়া তো বাংলাদেশের প্রতি কোনও বড় পদক্ষেপ নেয়না। আমাদের নিজেদের ঘর নিজেদেরই সামলাতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |