প্রীতি পোদ্দার, ঢাকা: বিতর্কিত আইন বাতিল না হলে জোরালো আন্দোলনে নামা হবে। এই মর্মে মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে (Bangladesh Government) হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারীরা। আর এই আবহে প্রবল চাপের মুখে পড়ল রাষ্ট্রপ্রধান। তার জেরেই আন্দোলনকারীদের দমন করতে ঢাকায় সমাবেশ বন্ধের নির্দেশ দিল ইউনূস সরকার।
কেন আন্দোলনে নামলেন কর্মীরা?
সম্প্রতি শেখ হাসিনার আমলের ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ২২ মে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি আইন সংক্রান্ত আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স)-এর খসড়া অনুমোদিত হয়। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আন্দোলনে নামেন সে দেশের সরকারি কর্মীদের বড় একটি অংশ। বিতর্কিত আইন বাতিল না হলে জোরালো আন্দোলনে নামা হবে। এই মর্মে মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারীরা।
ইউনুসের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ঢাকা পুলিশ
আর এই আবহে ঢাকা মহানগর পুলিশ রাজধানীর ক্ষমতার কেন্দ্রস্থলে সবধরনের জমায়েত, মিছিল ও সভা-সমাবেশের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাঁর অফিস-বাড়ির চারপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সভা, সমিতি, গণ জমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা পুলিশ।
ঢাকা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার অফিস-বাড়ি যমুনা এবং পাশ্ববর্তী এলাকায় অবস্থিত হোটেল কন্টিনেন্টাল মোড় কাকরাইল, মসজিদ মোড়, অফিসার্স ক্লাব মোড়, মিন্টু রোড এলাকায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সরকারি কর্মীদের
ঢাকার পুলিশ কর্তারা একান্তে জানাচ্ছেন, প্রধান উপদেষ্টার বাড়ির চারপাশে যাতে মাছি গলতে না পারে তা নিশ্চিত করতেই এই নিষেধাজ্ঞা। সেখানকার জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থা বিডি২৪ নিউজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিএমপি কমিশনার এস এম সাজ্জাদ আলী জানিয়েছেন যে, “প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসের নিরাপত্তা এবং জনশৃঙ্খলার স্বার্থে” মধ্য ঢাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে আন্দোলনকারীরা, আপাতত ঈদের কারণে প্রতিবাদের তীব্রতা কিছুটা কমিয়েছে, তবে ১৫ জুনের মধ্যে দাবি না মানা হলে আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সরকারি কর্মীরা।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরের পুরনো বাস বাতিল নয়, সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের! তবে …
এই প্রসঙ্গে, বাংলাদেশ সচিবালয় অফিসার্স-এমপ্লয়িজ ইউনিটি ফোরামের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম জানিয়েছে, “কয়েকদিনের মধ্যেই সারা বাংলাদেশের হাজার হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে যোগ দিতে চলেছেন। সেখানে তাঁদের প্রধান দাবি হবে বেতন বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যা সমাধান। তাই সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আন্দোলন আরও জোরালো হবে। ঈদের ছুটি শেষ হলেই আন্দোলন আবারও তীব্র হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।”
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |