প্রীতি পোদ্দার, ঢাকা: গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ৫ অগস্ট কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং তার পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। তার পর থেকেই বাংলাদেশের ক্ষমতায় রয়েছে মুহাম্মদ ইউনূস। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরই আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে সরকারের। আর এই আবহেই এবার পাবনার সরকারি কলেজ এডওয়ার্ডের এক ছাত্রীআবাসের নাম বদল করল ইউনূস সরকার।
ছাত্রীনিবাসের নাম পরিবর্তনে বিতর্ক
জানা গিয়েছে, কিংবদন্তী অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন (Suchitra Sen) যেহেতু জন্মসূত্রে পাবনার মেয়ে ছিলেন, তাই তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েই পাবনার সরকারি কলেজ এডওয়ার্ডের সেই ছাত্রীআবাসের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘সুচিত্রা সেন ছাত্রীনিবাস’। কিন্তু মুহাম্মদ ইউনূস যেভাবে শেখ হাসিনার স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলতে তৎপর হয়ে উঠেছে তাতে এবার কোপ পড়ল এই ছাত্রীনিবাসের নামে। বহু যুগ ধরে চলে আসা এই নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘জুলাই- ৩৬ ছাত্রীনিবাস’। তবে নাম পরিবর্তনের ক্ষান্ত থাকেননি ইউনূস, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের দুই সদস্যের নামে নামাঙ্কিত হলের নামও বদলে ফেলা হয়েছে।
বদল একাধিক হস্টেলের নাম
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ তিনটি ছাত্র ও ছাত্রীনিবাসের পরিবর্তিত নামফলক উন্মোচন করেন। সেখানেই জ্বলজ্বল করছে নতুন নামগুলি। জানা গিয়েছে, শেখ রাসেল হস্টেলের নাম বদলে রাখা হয়েছে ‘বিজয়-২৪ ছাত্রবাস’ এবং বে্গম ফজিলাতুন্নেসা হস্টেলের নতুন নামকরণ হয়েছে ‘আয়েশা সিদ্দিকা’। এদিকে এই নতুন নামকরণে একদমই খুশি নয় একাংশ। এদিকে সাংস্কৃতিক মহলের মতে, সুচিত্রা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করলেও যেহেতু তাঁর কর্মজীবনের পুরোটাই ভারতে, শুধুমাত্র সেই কারণেই অভিনেত্রীর নামে ছাত্রীনিবাসের নাম বদলে ফেলা হয়েছে।
নেপথ্যে কারণ কী?
এই প্রসঙ্গে পাবনার সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘সুচিত্রা সেন বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি মহানায়িকা। তাঁকে নিয়ে রাজনীতির কিছু নেই। এই নাম পরিবর্তনের তীব্র নিন্দা করছি।‘ অন্যদিকে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নরেশ মধু বলেন, ‘সুচিত্রা সেন কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। তিনি আমাদের অবেগ, অনুভূতি, ভালোবাসার মানুষ। তাঁর নাম মুছে দেওয়া কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাই ছাত্রীনিবাসের নামটি ফিরিয়ে আনার দাবি করছি।’
আরও পড়ুন: বঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী! জোড়া কর্মসূচি আলিপুরদুয়ারে, নেপথ্যে কারণ কী?
অন্যদিকে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন করেছিল ইউনূস সরকার। আর এবার সে দেশের স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের জন্য নির্দিষ্ট শপথবাক্যও বদলে ফেলা হল। ২০২১ সালের আগে পড়ুয়ারা যে শপথবাক্য পাঠ করতেন, তা পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পড়ুয়াদের দৈনন্দিন শপথে যেখানে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছিল। এখন সে সবই পরিবর্তিত হয়েছে।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |