ভারতীয় চাল বেশি দামে আমদানি করতে হচ্ছে দুবাই থেকে! পকেট ফাঁকা বাংলাদেশের

Published:

Bangladesh Imports Indian Rice From Dubai paying heavy price
Follow

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: মহম্মদ ইউনূস জামানায় চিন, পাকিস্তানের সাথে সখ্যতা বাড়লেও ভারতের সাথে ঐতিহ্যবাহী সম্পর্কে দীর্ঘ ফাটল দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের। ওপার বাংলার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একাধিক ভারত বিরোধী মনোভাব ও পদক্ষেপকে সামনে রেখে স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করেছিল ভারত। যার জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে ইউনূসের দেশ। তবে স্থলপথ সীমিত করলেও বাংলাদেশি পণ্যে কোনও নিষেধাজ্ঞা চাপায়নি নয়া দিল্লি। এদিকে বীরত্ব দেখিয়ে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ভারত থেকে আমদানি স্থগিত করেছিল বাংলাদেশ… এখন শোনা যাচ্ছে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে চাল আমদানি করছে ঢাকা (Bangladesh Imports Indian Rice)। জানলে অবাক হবেন, ইউনূস দুবাই থেকে যে চাল আমদানি করছেন সে সবই ভারতেরই।

দুবাইতে ভারত থেকে আমদানি করা চাল কিনছে বাংলাদেশ

BDDiGEST এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের খাদ্য বিভাগের ক্রয় দপ্তরের পরিচালক মহম্মদ মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের চাল সরবরাহকারী কার্যালয় দুবাইতে হলেও, ওই চালগুলির প্রকৃত উৎস ভারত। সে সবই ভারত থেকে আমদানি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।’ জানা গিয়েছে, গত 22 অক্টোবর বাংলাদেশের সরকারি ক্রয় উপদেষ্টা কাউন্সিল মিয়ানমার এবং দুবাই থেকে কমপক্ষে 1 লক্ষ টন চাল কেনার অনুমোদন দেয়। এর জন্য মোট খরচ হবে 446.23 কোটি টাকা।

ভারত থেকে দুবাই হয়ে চাল পৌঁছয় আফ্রিকা সহ মধ্যপ্রাচ্যে

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্যাকেজ 2 এর অধীনে দুবাই ভিত্তিক এম/এস শংসাপত্র ওয়ান এফজেডসিও থেকে 50,000 টন বাসমতি চাল একটি দরপত্রের মাধ্যমে 355.99 ডলার হারে সংগ্রহ করা হবে। যার দাম কমপক্ষে 216.9 মিলিয়ন। এছাড়াও মিয়ানমার থেকে 50,000 টন চাল কেনা হবে। টন প্রতি যার দাম 376.50 ডলার। সর্বসাকুল্য মিয়ানমার থেকে 2.293 বিলিয়ন ডলারের চাল কিনবে বাংলাদেশ। অনেকেই হয়তো জানেন না, দুবাইয়ে ধান পুনরায় রপ্তানির জন্য একটি প্রধান কেন্দ্র রয়েছে। ভারত থেকে প্রথমে বাসমতি এবং অবাসমতি চাল গুলি আমদানি করে সেই কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে সেই চাল রপ্তানি করা হয়।

বিপুল চালের মজুদ থাকতেও কেন আরও চাল কিনছে বাংলাদেশ?

দুবাই থেকে চাল আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশের খাদ্য বিভাগের পরিচালক মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত চালের মজুদ রয়েছে। তবে ঝুঁকি এড়াতে আমরা দুবাই থেকে অতিরিক্ত দামে চাল কিনছি।’ বলা বাহুল্য, গত বছর বন্যা পরবর্তী সময়ে আমদানিকৃত কিছু চাল বিতরণ করা হয়েছিল বাংলাদেশে। যদিও এবছর সেই আমদানি অনেকটাই কম। শোনা যাচ্ছে, আগামীতে যাতে বাংলাদেশের চালে টান না পড়ে সে জন্যই আগে থেকে চাল কিনে রাখছে তারা। বলে দিই, ওপার বাংলায় এই মুহূর্তে কম করে 15 লক্ষ টন চাল মজুদ রয়েছে।

অবশ্যই পড়ুন: নবান্নের দিকে জানলা নিষিদ্ধ, আবাসন নির্মাণ নিয়ে ১৭ দফা শর্ত দিল লালবাজার

প্রসঙ্গত, হাসিনা জামানা শেষের পরই ইউনূসের হাত ধরে ভারতের সাথে যত দূরত্ব বেড়েছে বাংলাদেশের, ততই ক্রমশ ক্ষতির মুখে পড়েছে ওপার বাংলার মানুষজন। বিপুল আর্থিক ক্ষতিও হয়েছে দেশটির। থিঙ্ক ট্যাঙ্ক গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তবা জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ কিন্তু নিজের ক্ষতি নিজেই করছে। এখানে ভারতের কিছু করার নেই। ভারত বাংলাদেশের কোনও পণ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি।। তবে স্থলপথে কিছুই নিষেধাজ্ঞা বসানো হয়েছে।’ বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারতের এই পদক্ষেপে কমপক্ষে 77 মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হবে বাংলাদেশের। তাছাড়াও ভারত থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখে এদেশের চাল দুবাই থেকে কিনতে অনেক বেশি আমদানি মূল্য চোকাতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join