আচমকা ট্রেনের ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হল। মাথায় বাজ পড়ল সাধারণ মানুষের। এখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা অন্তত ট্রেনে করে যাওয়া আর সস্তার রইল না। যতই বাস বা বিমান থাকুক না কেন, বেশিরভাগ মানুষের প্রথম পছন্দ কিন্তু রেল। কিন্তু এবার এই রেলে ভ্রমণই এক ধাক্কায় আরও মহার্ঘ্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল সরকারের তরফে।
হ্যাঁ এটাই সত্যি। তবে ভারতে কিন্তু এই ভাড়া বাড়েনি। আপনি যদি ওপার বাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার কথা চিন্তাভাবনা করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য রইল জরুরি খবর। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে বা ভারত থেকে বাংলাদেশে যাওয়া খুবই সহজ। বিমান, বাস থেকে শুরু করে ট্রেন রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই দুই বাংলা ঘুরে আসতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই আছেন যারা ভারতে উন্নত মানের চিকিৎসা থেকে শুরু করে পড়াশোনা, বিভিন্ন কাজের তাগিদে আসেন। সেক্ষেত্রে যাদের একটু বাজেট কম তাঁরা বিমানের বদলে বাস বা ট্রেনকে প্রাধান্য দিয়ে এপারে আসেন। তবে এবার ট্রেনে আসা মোটেই আর সস্তার হবে না বৈকি। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সংযোগকারী যে তিনটি ট্রেন রয়েছে সেগুলির ভাড়া এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
বাংলাদেশ, ভারতের মধ্যে চলে তিনটি ট্রেন
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলাচলকারী তিনটি আন্তর্জাতিক ট্রেনের টিকিটের দাম বাড়াল বাংলাদেশের সরকার। এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তের জন্য মার্কিন ডলারের উচ্চ বিনিময় হার এবং ভ্রমণ কর বৃদ্ধিকে দায়ী করেছে। যাইহোক ঢাকা-কলকাতা রুটে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস, খুলনার সঙ্গে কলকাতার সংযোগকারী বন্ধন এক্সপ্রেস ও ঢাকা ও শিলিগুড়ির মধ্যে চলাচলকারী মিতালী এক্সপ্রেসের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ এবার মিলবে ফ্রি পরিষেবা! LPG নিয়ে কোটি কোটি গ্রাহকদের সুখবর শোনাল কেন্দ্র
এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কত টাকা বেড়েছে? তাহলে চোখ রাখুন লেখাটির ওপর। বাংলাদেশ রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মৈত্রী এক্সপ্রেস স্লিপারের ভাড়া এখন ৪৯০০ টাকা এবং এসি চেয়ারের ভাড়া ৩৬০০ টাকা। অন্যদিকে মিতালী এক্সপ্রেসের ভাড়া বেড়ে হয়েছে স্লিপারের ক্ষেত্রে ৬৭০০ টাকা এবং এসি চেয়ারের ভাড়া হয়েছে ৪২৯০ টাকা। এবার আসা যাক বন্ধন এক্সপ্রেসের ব্যাপারে। এই ট্রেনের এসি স্লিপার ক্লাসের ভাড়া ২৯৫০ টাকা এবং এসির চেয়ার কারের ভাড়া ২৩০০ টাকা।