প্রীতি পোদ্দার, ঢাকা: দিন কয়েক আগেই চিনে পাড়ি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি দাবি করেছিলেন যে ভারতের উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্য ‘স্থলবেষ্টিত এলাকা’। এবং এই সাত রাজ্যকে নাকি সমুদ্রে পৌঁছতে গেলে বাংলাদেশের উপর নির্ভর করতে হয়। যা নিয়ে শুরু হয়েছিল তুমুল বিতর্ক। আর সেই বিতর্কের আবহে অর্থনীতি ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে বঙ্গোপসাগরে নতুন কর্মসূচির বার্তা দিলেন মুহাম্মদ ইউনূস।
হাইড্রোগ্রাফি দিবসে উঠে এল বঙ্গোপসাগর প্রসঙ্গ!
গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার, ‘বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস-২০২৫’ উপলক্ষ্যে একটি প্রশাসনিক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বক্তব্য প্রদান করেই। আর তাঁর বক্তব্যেই মাঝেই উঠে এল বঙ্গোপসাগরের বিতর্ক। এদিন তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতি, নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
অর্থনীতি সুরক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বঙ্গোপসাগর
তবে মুহাম্মদ ইউনূসের মতে শুধু বাংলাদেশই নয়, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোও তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বঙ্গোপসাগরের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। এদিন মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সমুদ্রসীমার একটি পরিপূর্ণ হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন হাইড্রোগ্রাফিক পেশাজীবীদের। তাঁদের পেশাদারিত্ব, দক্ষতা, নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এছাড়াও ইউনূস আরও বলেন যে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত আরো মজবুত ও সমৃদ্ধ করতে সমুদ্র তলদেশের নির্ভুল মানচিত্রায়নের মাধ্যমে একটি সমুদ্রনীতি গড়ে তুলতে হবে। সেক্ষেত্রে এই সমুদ্রনীতি গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিকে আরও পেশাদারিত্ব, দক্ষতা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার ‘পরামর্শ’ও দেন তিনি।
আরও পড়ুন: আসছে তিন বাঘা প্লেয়ার! মেহতাব, অভিষেক হাতছাড়া হতেই পাশা পাল্টে দিল ইস্টবেঙ্গল
কড়া জবাব বিদেশমন্ত্রীর
ঘটনাচক্রে, সম্প্রতি চিন সফরে গিয়ে বাংলাদেশকে বঙ্গোসাগরের ‘অভিভাবক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন যে, “চিন এবং বাংলাদেশ লাগোয়া উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য স্থলভাগ দিয়ে ঘেরা। এদের সমুদ্রে পৌঁছোনোর কোনও পথ নেই।”
আর সেই বিতর্ক উঠতেই বিমসটেক গোষ্ঠীতে ভারতের ভূমিকা তুলে ধরতে গিয়ে, সুকৌশলে ইউনূসকে কড়া জবাব দিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।।