প্রীতি পোদ্দার, ঢাকা: বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর ক্রমেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। এমনকি নয়া অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরেও সম্পর্কের সমীকরণে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। এদিকে দেশের অন্দরে একের পর এক উত্তাল পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম যেন আকাশ ছুঁয়েছে। সামান্য চাল ডাল কিনতে গিয়ে পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ওপার বাংলার মানুষদের। তবে দুই দেশের মধ্যে যতই মতবিরোধ থাকুক না কেন ভারত সবসময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে রেখেছিল বাংলাদেশের দিকে। তার কম উদাহরণ দেখেনি গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশের এই অবস্থায় চাল, ডিম, পেঁয়াজ, আলু, চিনির রপ্তানি বজায় রেখেছে দিল্লি। আর এবার তাই অতীত ভুলে ভারতের কাছে ডিজেল কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করল ইউনুস সরকার।
ঢাকার সচিবালয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক পরিষদ কমিটির
সূত্রের খবর গত মঙ্গলবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিনের সভপতিত্বে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক হয়। একাধিক বিষয় নিয়ে নানা বৈঠক হয়। আর সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ভারত থেকে এবার ডিজেল আমদানি করা হবে। সেখানকার প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেডের থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বা BPC।
ভারত থেকে আমদানি করা হবে ডিজেল
আর ওই বিপুল পরিমাণ ডিজেল আমদানি করতে বাংলাদেশ সরকারের খরচ হবে মাত্র ১ হাজার ১৩৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এবং প্রতি ব্যারেল ডিজেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫.৫০ ডলার। এর আগে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তির আওতায় ২০১৬ থেকে ডিজেল আমদানি করছে বাংলাদেশ। পাইপলাইন নির্মাণের আগে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি করা হত। কিন্তু ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ থেকে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি করা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রায় দুবছর পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ফের ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুনঃ আর কটা দিন, শীঘ্রই হুগলিতে বাড়ি বাড়ি পাইপের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে গ্যাস, সুখবর দিল GAIL
আসলে একের পর এক দাঙ্গা, অত্যাচারের মাঝেই বাংলাদেশের বাজারে চালের দাম ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই বাধ্য হয়ে সরকার আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এরপরই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১৩ জন আমদানিকারক ৯১ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেন ইউনূস সরকার। যা চালের বাজার দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে দাবি করা হয় আমদানিকারকদের তরফে।