বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: একই গলায় ভিন্ন সুর! সম্প্রতি ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করায় বাংলাদেশ (Bangladesh) যে যথেষ্ট চাপে পড়বে তা বুঝে গিয়েছিলেন সুবুদ্ধি সম্পন্নরা। তবে ওপার বাংলার বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দাবি করেছিলেন, প্রতিবেশী ভারতের এমন পদক্ষেপে কোনও ক্ষতি হবে না বাংলাদেশের, বরং দেশীয় ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে আরও বাণিজ্যিক উন্নতি হবে।
এমন মন্তব্যের রেশ কাটতে না কাটতেই ভোল বদল ওপার বাংলার উপদেষ্টার। বুধবার, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন স্বীকার করেছেন, দিল্লির ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা হাতছাড়া হওয়ায় 2000 কোটি টাকা খরচ বেড়েছে বাংলাদেশের। তবে এই ক্ষতি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে প্রতি মুহূর্তে। খরচ কমাতে নাকি নানা উদ্যোগ নিচ্ছে ওপার বাংলার সরকার।
ঠিক কী জানালেন ওপার বাংলার বাণিজ্য উপদেষ্টা?
বুধবার দুপুরে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওপার বাংলার বাণিজ্য উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন জানান, ভারত, পাকিস্তান অথবা চিন, এসব কোনও বিষয় নয়। সব দেশের সাথেই বাণিজ্যিক উন্নতি করতে চায় বাংলাদেশ সরকার। এরপরই আমেরিকার শুল্ক আরোপ নীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পদ্মা পাড়ের বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, আমেরিকা একপেশে শুল্ক চাপাচ্ছে। তা অবশ্যই দুশ্চিন্তার কারণ।
তবে আপাতত 3 মাসের জন্য শুল্ক আরোপ স্থগিত রেখেছে তারা। আর এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনাগুলি বাস্তবায়নের কাজ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ওপার বাংলার বাণিজ্য উপদেষ্টার সংযোজন, শুল্ক আরোপের বিষয়টি নিজে হাতে সামলাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস। আমেরিকা বাংলাদেশের থেকে কম করে রপ্তানি পণ্যের ওপর 1 বিলিয়ন ডলার শুল্ক আদায় করে। জানা গিয়েছে, আমেরিকার সাথে সম্পর্কের ঘাটতি থাকায় শীঘ্রই ট্রাম্পের সাথে দেখা করতে যাবেন মহম্মদ ইউনূস। তবে সবশেষে, ওপার বাংলার উপদেষ্টা স্বীকার করেছেন, ভারতীয় শুল্ক বন্দর গুলি ব্যবহার করতে না পারায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশের!
অবশ্যই পড়ুন: ক্লেটনের পর আরেক বিদেশি ছাঁটাই! সুপার কাপের আগে ডামাডোল ইস্টবেঙ্গলে
প্রসঙ্গত, গত 8 এপ্রিল ভারতের তরফে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায়, শুরুর দিকে ততটাও উচ্চবাচ্য করেনি বাংলাদেশের প্রশাসন। তবে সম্প্রতি প্রতিবেশী ভারতকে শায়েস্তা করতে এদেশ থেকে সুতো আমদানি নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। আর এরপরই ওপার বাংলার বাণিজ্যিক শিরদাঁড়া অর্থাৎ পোশাক শিল্প কার্যত হামাগুড়ি দিচ্ছে! বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সরকারের এমন পদক্ষেপে যথেষ্ট ক্ষতির মুখে পড়েছেন রপ্তানিকারকরা।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত অর্থাৎ পোশাক শিল্পের অন্যতম রসদ সুতোর 95 শতাংশই যায় ভারত থেকে। তবে দিল্লির পদক্ষেপের পাল্টা চাল দিতে গিয়ে একেবারে লেজে গোবরে অবস্থা হয়েছে ইউনূস সরকারের। বেশ কয়েকটি সূত্র যা বলছে, বাংলাদেশ সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে একেবারে আত্মঘাতী বলে দাবি করেছেন ওপার বাংলার সুতো রপ্তানিকারকরা।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |