চিনের ফাঁদে পা দিয়েই শেষের পথে বাংলাদেশ! ড্রাগনের নজরে এবার পদ্মা পাড়ের কৃষি জমি

Published on:

Bangladesh is on the verge of its end in the trap of china

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের (Bangladesh) শাসন ব্যবস্থা শান্তিতে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসের হাতে যেতেই ওপার বাংলার সাথে চিনের সখ্যতা বেড়েছে। মূলত ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের সিদ্ধান্তে ও দেশে ক্রমশ বাণিজ্য বাড়াচ্ছে চিনা সংস্থাগুলি। আসলে ভারতকে ফাঁপরে ফেলতে চিনের হাত শক্ত করার চেষ্টা করছেন ইউনূস! তবে হিতে বিপরীতও যে হতে পারে তা হয়তো কল্পনাতেই আনেননি ওপার বাংলার প্রধান।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

ড্রাগনের দেশের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আনুষাঙ্গিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক তৈরির ফাঁকে জিনপিং সরকারের কাছে এক প্রকার বিকিয়ে গিয়েছে ওপার বাংলার সবই! সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা বেশ কয়েকটি রিপোর্ট দাবি করছে, মূলত ঋণ, বিনিয়োগ ও অন্যান্য সহযোগিতার নামে বাংলাদেশে ক্রমশ ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে চিন। শোনা যাচ্ছে, পদ্মা পাড়ের বাজারে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দখল জমানোর পর এবার শহরের পাশাপাশি ইউনূসের বাংলাদেশের গ্রামগুলির ওপরও নজর পড়েছে সর্বগ্রাসী মনোভাবাপন্ন চিনের।

চিনের নজরে বাংলাদেশের একাধিক গ্রাম

গতকাল অর্থাৎ রবিবার চিনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাওয়ের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস। সেখানেই, আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে চিনা ছোঁয়া দিতে চিনকে একটি উৎপাদন ইউনিটে পরিণত করা হবে। পরবর্তীতে চিনা বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, চিন বাংলাদেশের বাণিজ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে প্রস্তুত, বিশেষ করে কৃষি, পাট, সামুদ্রিক মৎস ও ওপার বাংলার গবেষণার ওপর বিশেষ নজর রয়েছে চিনের।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

বাংলাদেশের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সম্প্রতি ওপার বাংলায় এসে পৌঁছেছিলেন চিনা কোম্পানিগুলির একটি বড় প্রতিনিধি দল। জানা যায়, চিনের এক মন্ত্রী নাকি বলেছেন, আমরা যেমন আলোচনা করেছি, আমরা মূলত জানতে আগ্রহী যে বাংলাদেশে কৃষির কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে পারি। এদিন ওই মন্ত্রী জানান, মূলত কৃষি জমি উন্নয়ন, জল সংরক্ষণ ও রোপন কৌশলের মতো ক্ষেত্রগুলিকে বিশেষ নজরে রাখছি।

বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কথা বলতে গিয়ে ওই চিনা মন্ত্রী ওপার বাংলার মৎস্য ও সামুদ্রিক অর্থনীতি সম্পর্কেও কথা বলেন। মূলত কীভাবে চিন ও বাংলাদেশ একসাথে উন্নয়নের কাজ করতে পারবে তা নিয়েই কথা বলেছিলেন জিনপিংয়ের ওই মন্ত্রী।

অবশ্যই পড়ুন: লজ্জা নিয়েই যাত্রা শেষ করেছে শাহরুখের KKR! মুম্বইকে হারিয়ে IPL-এ ইতিহাস লিখল শ্রেয়সের পাঞ্জাব

চিনের ফাঁদে পা দিয়ে শেষের পথে বাংলাদেশ!

ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতিমধ্যেই চিনের ফাঁদে পা দিয়ে বসেছে। জানিয়ে রাখি, বর্তমানে চিন থেকে 2.1 বিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য পেয়েছে বাংলাদেশ। মূলত বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদান হিসেবেই এই অর্থ পেয়েছে ইউনূসের সরকার। বেশ কয়েকটি সূত্র যা বলছে, চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং নাকি ইতিমধ্যেই সুদের হার কমানোর আভাস দিয়েছেন।

তাছাড়াও, বাংলাদেশের প্রতি কিছুটা নরম হয়ে নাকি অর্থ সাহায্য 5 বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চাইছে ড্রাগনের দেশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিন ইউনূসের দেশকে যেভাবে আর্থিক সাহায্য করছে, তাতে আগামী দিনে জিনপিংয়ের তরফে পাওয়া ওই বিপুল ঋণ পরিশোধ করতে পারবেনা বাংলাদেশ। আর শেষ পর্যন্ত ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে, ধীরে ধীরে ওপার বাংলাকে গ্রাস করবে ড্রাগন।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group