ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ তিনিই হয়তো বাংলাদেশের সম্ভাব্য ‘প্রধানমন্ত্রী’। এদিকে সেনার শাসনের পরিবর্তে তাঁকেই সাময়িকভাবে ‘শাসক’ হিসেবে চাইছেন। আপনিও কি ভাবছেন যে কাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে? জানিয়ে রাখি, সেই ব্যক্তিটির নাম হল নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বা ‘প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসকে চাইছেন দেশের সিংহভাগ মানুষ। তবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এই নোবেলজয়ী এমন এক মন্তব্য করেছেন যারপরে আপনারও শিরদাঁড়া দিয়ে ঠাণ্ডা হয়ে যেতে পারে।
কী বলছেন মহম্মদ ইউনুস?
এই মহম্মদ ইউনুসকে এক কথায় দরিদ্রদের ‘মসিহা’ বলা হয়। আবার অনেকেই ‘দরিদ্রদের ব্যাংকার’ বলা হয় নোবেলজয়ী ড. মহম্মদ ইউনুসকে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনের সমন্বয়করা। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রফেসর ইউনুস দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন। যাইহোক, সম্প্রতি তিনিই হাসিনাকে ‘স্বৈরশাসক’ আখ্যা দেন।
ইউনুস বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের সব মানুষ নিজেদের স্বাধীন মনে করছে। বাংলদেশ অস্থিতিশীল হয়ে পড়লে তা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে পরিণত হতে পারে। সেই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির প্রভাব গিয়ে পড়বে মায়ানমার, ভারতের উত্তরপূর্বের ৭ রাজ্য এবং পশ্চিমবঙ্গে। বাংলাদেশ অস্থিতিশীল হয়ে পড়লে এই অঞ্চলের জন্যে পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়ে যাবে। কারণ এখানে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার বাস। বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে অধিকাংশই যুব সমাজ। তবে তারা কোনওদিন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেনি। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যাতে এই সব বাংলাদেশিরা শান্তিতে থাকতে পারেন। তাঁরা আইনশৃঙ্খলা মেনে চলেন। আমাদের এই যুব সমাজের সঙ্গে কথা বলে শুরু করতে হবে দেশ গড়ার কাজ।’
নোবেলজয়ীকেই চাইছেন আন্দোলনকারীরা
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছে সেনা। যদিও আন্দোলনকারীরা নোবেলজয়ী অধ্যাপক ডা. মহম্মদ ইউনুসকে এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে নয়া স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে বাংলাদেশের রাস্তা। আন্দোলনকারীদের দাবি, ‘সেনা সমর্থিত সরকার মানব না’। ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম মুখ তথা অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম আজ ভোরে জানান, ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পক্ষে তারা।