বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: উত্তর-পূর্বের 7 রাজ্যের সাথে ভারতকে যুক্ত করে চিকেন নেক বা শিলিগুড়ি করিডোর। ফলত, ভৌগোলিক দিক থেকে এই অঞ্চলটি ভারতের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আর এই অঞ্চলের একেবারে কাছেই বাংলাদেশ সীমান্তের লালমনিরহাটে বিমানঘাঁটি (Bangladesh Lalmonirhat Airbase) তৈরির পাশাপাশি তার ভেতরে এক বিশাল হ্যাঙ্গার নির্মাণ করছে ইউনূসের দেশ। নবভারত টাইমসের রিপোর্ট বলছে, চলতি সপ্তাহেই লালমনিরহাট বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছে হ্যাঙ্গার নির্মাণ কতদূর এগলো তা সরেজমিনে দেখে এসেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। শোনা যাচ্ছে, এই হ্যাঙ্গারটি মূলত যুদ্ধবিমান পার্ক করার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। যা নয়া দিল্লির জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের।
চিনের সুড়সুড়িতেই বিমানঘাঁটি তৈরি করছে বাংলাদেশ
হাসিনাহীন বাংলাদেশের সাথে বিগত দিনগুলিতে চিন, পাকিস্তানের সখ্যতা বেড়েছে অনেকটাই। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের বিরোধিতা করে পাকিস্তান এবং ড্রাগনের পাশে দাঁড়িয়েছেন ওপার বাংলার প্রধান উপদেষ্টা! আর এসবের মাঝেই বাংলাদেশের লালমনিরহাটে বিমানঘাঁটি তৈরির ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে ওপার বাংলার সেনাবাহিনী। যদিও বিশ্লেষক মহলের মতে, চিনের সাহায্যেই এই বিমানঘাঁটি তৈরি করছে বাংলাদেশ।
সূত্রের খবর, ওই বিমান ঘাঁটির ভেতরে এই বিশালাকার হ্যাঙ্গার তৈরি করার পাশাপাশি চিন থেকে 2.2 মিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে 20টি J-10 CE কেনার বিষয়ে মনোযোগী হয়েছে বাংলাদেশ। মনে করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই চূড়ান্ত চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনার হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে নতুন চিনা যুদ্ধবিমানগুলি। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই চিনের JF 17 যুদ্ধবিমান কিনতেও নাকি আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন যুদ্ধ বিমানের জন্যই আগেভাগে লালমনিরহাট বিমান ঘাঁটির ভেতরে হ্যাঙ্গার তৈরির কাজ শুরু করেছে ওপার বাংলার সেনাবাহিনী।
অবশ্যই পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতির আশঙ্কা বাংলাদেশের
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ঘেঁটে জানা গেল, লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগর সংঘের অধীনে হাড়িভাঙ্গা গ্রামে তৈরি হচ্ছে ওই হ্যাঙ্গারটি। যা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র 20 কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত। নর্থইস্ট নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের লালমনিরহাট বিমানঘাঁটিতে নির্মীয়মান ওই হ্যাঙ্গারে একসাথে 10 থেকে 12টি যুদ্ধবিমান একসাথে দাঁড়াতে পারবে। আর সেটাই এখন নয়াদিল্লি উদ্বেগের অন্যতম কারণ। যদিও সূত্র বলছে, ওপার বাংলার কর্মকাণ্ডের উপর কড়া নজর রয়েছে ভারতের।