শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ ভারতের সঙ্গে যে সম্পর্ক ছিন্ন করা সহজ নয় সেটা কার্যত বুঝিয়ে দিল বাংলাদেশ। এখনো যে ভারতের ওপরেই কিছু বিষয়ের ওপর ভরসা করতে হবে সেটা জনসমক্ষে স্বীকার করে নিল বাংলাদেশ সরকার। বিশেষ করে বিদ্যুৎ বন্টন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে যথেষ্ট চাপে রয়েছে ওপার বাংলা। এমনিতে আদানি পাওয়ারকে টাকা পরিশোধ করতে না পারায় চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সরকার। দেশের বহু জায়গা এখন অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে। এরপরে আরও নানা ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার সম্পর্ক দিনে দিনে খারাপের দিকে এগোচ্ছে। এহেন অবস্থায় সঙ্গে ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিল করা নিয়ে বারবার পরামর্শ পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে এই পরামর্শ কার্যত মানতে যে নারাজ দেশ সেটাই এবার সাফ সাফ বোঝা গেল মন্ত্রীর গলায়। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বড় মন্তব্য করেছেন।
বাতিল হবে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যুৎ চুক্তি?
রিজওয়ানা বলেন, জ্বালানি খাতের চুক্তি বাতিল করা সহজ হলেও বাস্তবে তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তিনি জানান, ‘চুক্তি বাতিল করা এত সহজ নয়। নাইকো চুক্তি বাতিলের জন্য বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সালিশের আশ্রয় নিতে হয়েছিল। তারপরও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে এবং চুক্তিগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে।’ বাংলাদেশ এনার্জি প্রসপারিটি ২০৫০’ শীর্ষক দ্বিতীয় জ্বালানি সম্মেলনে প্রধান অতিথি হাসিবে হাজির ছিলেন রিজওয়ানা। সেখানেই তিনি এই মন্তব্য করেন। বুধবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডিজিইডি) এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
বড় মন্তব্য মন্ত্রীর
রিজওয়ানা বলেন, কোনো কোনো বক্তা বিগত সরকারের গৃহীত কিছু চুক্তি বা প্রকল্পের বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। শুরু থেকেই এসব নিয়ে সমালোচনা ছিল। এরই মধ্যে সম্পন্ন হওয়া কয়েকটি প্রকল্পের ঋণের বোঝায় জর্জরিত বাংলাদেশ। চড়া খরচে অসম চুক্তির খেসারত দিতে হচ্ছে সরকারকে। তিনি বলেন, সরকার ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ হিমশিম খাচ্ছে। প্রাক্তন এক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এম তামিমও জ্বালানি খাতের চুক্তি বাতিলের বাস্তবতা নিয়ে কথা বলেন।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |