৯২ বছরে মৃত্যু সখিনা বেগমের, শোকস্তব্ধ গোটা বাংলাদেশ! বৃদ্ধার কীর্তি জানলে গর্ব হবে

Published:

Bangladesh mourns death of 92-year-old woman
Follow

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: মঙ্গলবার ভোরে বাংলাদেশের (Bangladesh) কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়ার নিজের বাড়িতে প্রয়াত হয়েছেন সখিনা বেগম। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল 92 বছর। কিন্তু হঠাৎ কেন বৃদ্ধার মৃত্যু নিয়ে আলোচনা? জানা যাচ্ছে, এই এক বৃদ্ধার মৃত্যুতেই শোকোস্তব্ধ গোটা বাংলাদেশ। সখিনা বেগম দেহত্যাগ করার পাশাপাশি একেবারে নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছেন পদ্মা পাড়। কিন্তু কেন এই বৃদ্ধার জন্য শোকের ছায়া নেমে এলো ইউনূসের বাংলাদেশে?

বৃদ্ধার আসল পরিচয় কী?

92 বছর বয়সে দেশের মাটিকে আঁকড়ে ধরেই পরলোক গমন করেছেন বাংলাদেশের সখিনা। তবে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হলেও তাঁর চলে যাওয়াটা একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না ওপার বাংলার মানুষজন।

আসলে, এই সখিনা বেগম একজন বীর নারী। বলা চলে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা। তবে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ওপারের রাজনীতির সাথে তাঁর সম্পর্ক ছিল আদায় কাঁচকলায়! অর্থাৎ রাজনৈতিক ঘোলা জলে একেবারেই নিজের গা ভেজাননি সখিনা বেগম।

জানা যায়, মৃত্যুর আগে বার্ধক্য ও বয়সজনিত কারণে হাঁটাচলা করতে পারতেন না তিনি। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ রোগ যন্ত্রণা ভোগ করে মঙ্গলবার ভোরে লোকচক্ষুর আড়ালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বাংলাদেশের বীর নারী।

আর এরপরই বৃদ্ধার মৃত্যুতে একেবারে শোকস্তব্ধ গোটা বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হঠাৎ বার্ধক্যজনিত কারণে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন সখিনা বেগম। তাই শোক জ্বালা সহ্য করেই তাঁকে সম্মানের সাথে স্মরণ করছেন পদ্মা পাড়ের জনগণ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বীর নারীর দেশের প্রতি অবদান স্মরণ করেই রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলেই জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের স্থানীয় প্রশাসন।

মুক্তিযুদ্ধে সখিনা বেগমের অবদান

পুরনো কাসুন্দি ঘেঁটে জানা গেল, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সখিনা বেগম ছিলেন বসু বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের শিবিরের একজন রাঁধুনি। তবে কথায় বলে, স্বাধীনতাকামি মানুষদের দেশ প্রেম যেন হাওয়ায় ওড়ে, সখিনার ক্ষেত্রে খানিকটা তেমনই হয়েছিল।

অবশ্যই পড়ুন: “লক্ষ্মণ থেকে গম্ভীর, একাধিক তারকা ক্রিকেটারের কেরিয়ার শেষ করেছেন ধোনি!”

জানা গিয়েছে, প্রথমদিকে পাকিস্তান বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল বদরের মতো পাকিস্তানের মিত্র সংগঠনগুলির গোপন খবরাখবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের দিতেন এই বীর নারী। পুরনো ইতিহাস ঘেঁটেই জানা গেল, বসু বাহিনীর ক্যাম্পে হামলা হলে পাক বাহিনীর হাতে নিহত হন বহু মুক্তিযোদ্ধা।

ঠিক সেই সময়ে রাঁধুনি সখিনা বেগমকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল পাক সেনা। পরবর্তীতে শত্রুদের ক্যাম্প থেকে কোনও মতে পালিয়ে এসেছিলেন তিনি। তবে পালিয়ে আসার সাথে সাথে হাতে করে একটি সোর্ড নিয়ে এসেছিলেন সখিনা। পরবর্তীতে নাকি ওই সোর্ড দিয়েই 5 জন স্থানীয় রাজাকারকে কুপিয়ে খুন করেছিলেন এই বীর নারী। এখন তাঁর বীরত্বের ইতিহাসই স্মরণ করছে বাংলাদেশ।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join