শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ আদানি পাওয়ারকে ‘সন্তুষ্ট’ করতে এবার বিরাট পদক্ষেপ নিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। এমনিতে নতুন ও পুরনো সরকার মিলিয়ে ভারতের আদানি পাওয়ারের কাছে বাংলাদেশের ৭২ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এদিকে সময় মতো টাকা পরিশোধ না করার জেরে আদানি পাওয়ারের তরফে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ পাঠানো এক ধাক্কায় অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়। যে কারণে মহা বিপাকে পড়ে ওপার বাংলা। এখনো অবধি বিদ্যুৎ না থাকার কারণে অন্ধকারে ডুবে রয়েছে একের পর এক গ্রাম এখানে অবস্থায় এবার বাংলাদেশের তরফে আদানি পাওয়ারকে ২০০০ কোটি টাকা পাঠানো হলো বলে খবর। একাধিক রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। আরো বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই আর্টিকেলটির ওপর।
আদানি পাওয়ারকে ২০০০ কোটি টাকা দিল বাংলাদেশ!
অনেকেই হয়তো জানেন কিংবা আবার জানেন না যে বাংলাদেশে বিদ্যুতের একটা বেশি পরিমাণ অংশ ঝাড়খণ্ড রাজ্যে অবস্থিত গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে যায়। তবে বিগত কয়েক কিছু সময় ধরে এই বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশকে অনেকটা কমই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল। এর অবশ্যই কারণ হলো বকেয়া পরিশোধ না করা। অভিযোগ, বাংলাদেশ ৮৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার (৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি) পরিশোধ করেনি।
বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় ১৬০০ মেগাওয়াট
আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে প্রায় ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এর প্রতিটির প্রায় ৮০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট রয়েছে। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “আদানি পাওয়ারও বিপিডিবির কাছে ১৫-২০ মিলিয়ন ডলার চেয়েছে, অন্যথায় সংস্থাটি ৮০০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি পুনরায় চালু করবে না, যা গত সপ্তাহে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।”
এদিকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য আদানি পাওয়ারকে ১৭৩ মিলিয়ন ডলারের (২ হাজার ৬১ কোটি টাকার বেশি) একটি নতুন লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) জারি করেছে। এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছে, ‘বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের তরফ থেকে এটি আদানি পাওয়ারকে দেওয়া তৃতীয় এলসি। বাংলাদেশের কৃষি ব্যাংকের তরফ থেকে এই এলসি দেওয়া হয়েছে ভারতের আইসিআইসিআই ব্যাংককে। আগের এলসিগুলো বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ছিল না।’