বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: চিন সফরকালে অভিভাবকত্ব দেখাতে গিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলকে বদ্ধ এলাকা বলে দাবি করেছিলেন ওপার বাংলার (Bangladesh) প্রধান মহম্মদ ইউনূস। আর এরপরই গত বুধবার বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত।
স্বাভাবিকভাবেই, দিল্লির এমন সিদ্ধান্তের পর তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য ভারতের স্থল শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করতে পারবে না বাংলাদেশ। ফলত, দেশীয় পণ্য বিশেষত বস্ত্র রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়াটাই স্বাভাবিক।
তবে পড়শির সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ না করে একেবারে ভোল বদলের খেলা দেখাল ওপার বাংলার সরকার। গতকাল, বিবৃতি জারি করে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতের এমন পদক্ষেপে নাকি তাদের এক ফোঁটাও সমস্যা হবে না।
ঠিক কী জানিয়েছেন ওপার বাংলার বাণিজ্য উপদেষ্টা?
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশরউদ্দীন জানান, আচমকাই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে দিয়েছে ভারত। তবে এতে বাংলাদেশের কোনও সমস্যা হবে না। বরং নিজেদের যাবতীয় ব্যবস্থাপনার সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করবে সরকার। এর ফলে বাণিজ্য ক্ষমতা আরও বাড়বে।
ট্রান্সশিপমন্ট সুবিধা বন্ধ হওয়ায় নাকি বাণিজ্য বাড়বে বাংলাদেশের…!
গতকাল ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পর ভারতের এমন পদক্ষেপ নিয়ে বিশেষ কোনও মন্তব্য না শানিয়ে নিজেদের বাণিজ্যিক দিক শক্ত রাখার কথা বলেছেন ওপার বাংলার বাণিজ্য উপদেষ্টা। বশির উদ্দীন বলেন, বুধবার বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীদের সাথে আমরা কথা বলেছি। ওই বৈঠকে ক্রেতারাও উপস্থিত ছিলেন। আমরা খুব শীঘ্রই দেশীয় ব্যবস্থায় সঙ্কট কাটিয়ে উঠব।
পুরোপুরি নিজেদের ক্ষমতায় যাতে প্রতিযোগিতায় কোনও কমতি না থাকে সেই দিকেই নজর রয়েছে। এদিন ওপার বাংলার বাণিজ্য উপদেষ্টার কথায়, ভারতের বিশেষ সুবিধা বন্ধ হওয়ায় বাংলাদেশ নাকি নিজেদের ব্যবস্থাপনায় নজর দেবে। তাতে দেশের বাণিজ্য ক্ষমতা অনেকটাই বাড়বে!
পাল্টা ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের পথে হাঁটবে বাংলাদেশ?
সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে ভারতের বড় পদক্ষেপের পর বাংলাদেশের তরফেও ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্ট নিয়ে কোনও পাল্টা প্রতিক্রিয়া আসবে কিনা, সে বিষয়ে নানান জল্পনা চলেছে। এ প্রসঙ্গে ওপার বাংলার বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ সেসব নিয়ে ভাবছে না। ওপার বাংলার বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, বাংলাদেশ নাকি শুধুমাত্র নিজেদের বাণিজ্য ক্ষমতা বাড়াতেই মরিয়া।
অবশ্যই পড়ুন: মুম্বই হামলার মূলচক্রীকে বাঁচাবেন দুঁদে আইনজীবী! ঠিক হয়ে গেল রানার রক্ষাকর্তা
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওপার বাংলার বাণিজ্য উপদেষ্টা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতের এমন পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে এই মুহূর্তে দিল্লিকে চিঠি দেওয়ার কোনও রকম ভাবনা চিন্তা নেই বাংলাদেশের।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |