সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের উত্তেজনা ফের তুঙ্গে (India Pakistan War Breaking News)। অপারেশন সিঁদুরের পর এবার যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘনিয়ে আসছে দুই দেশে। এই পরিস্থিতির আঁচ গিয়ে পড়েছে বাংলার পেট্রাপোল সীমান্তে। এর জেরে চিকিৎসা, ব্যবসা বা আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে ভারতে এসে এবার বহু বাংলাদেশী হঠাৎ করেই তাঁদের ব্যাগপত্র গুটিয়ে তড়িঘড়ি দেশে ফিরে যাচ্ছে।
সীমান্তের ওপারে যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বাংলাদেশীদের। অনেকে তো চিকিৎসা শেষ না করেই, আবার কেউ কাজ ফেলে রেখে বা আত্মীয়দের বাড়ি থেকে তড়িঘড়ি পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে রওনা দিচ্ছে।
দেশে ফিরছে বাংলাদেশিরা
বাংলাদেশের ফরিদপুর থেকে আসা এক ব্যক্তি বলেছেন, কয়েকদিন আগেই ভারতের এসেছিলাম। কাজ শেষ করতে আরও দুদিন লাগতো। তবে পরিস্থিতি শুনছি খুবই খারাপ। সীমান্ত বন্ধ হয়ে গেলে আমরা এখানে আটকা পড়ে যাব। তাই আগেভাগেই দেশে ফিরে যাচ্ছি।
এদিকে বাংলাদেশের মোহাম্মদ শেখ সেলিমও দেশে ফিরছেন। তিনি জানিয়েছেন, আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলাম। কিন্তু সীমান্তের যা পরিস্থিতি, তাতে ভয় পেয়ে দেশে ফিরে যাচ্ছি। তার কথায়, ভারত-পাকিস্তান এবং ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আবারও সুসম্পর্ক তৈরি হোক।
এক বাংলাদেশী তো এও বলেছেন, কিছু মানুষের জন্য ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দিনের পর দিন অবনতি হচ্ছে। আর সোশ্যাল মিডিয়ার নানা প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেছেন, আমরা এই সমস্ত বার্তাকে সমর্থন করি না, আর করবও না।
আরও পড়ুনঃ চিকেন’স নেক-এ ক্ষেপণাস্ত্র, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জারি কার্ফু! কড়া নির্দেশ BSF-র
এদিকে পেট্রাপোল বন্দরে মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রের মালিক কার্তিক ঘোষ জানিয়েছেন, ভারত পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার আগুনে বাংলাদেশীদের মধ্যে ভয় ছড়িয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশীরা আমাদের ফোন করে পরিস্থিতি কি হতে পারে, তা জানতে চাইছে। বুধবার তো অনেক বাংলাদেশী দেশেও ফিরে গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, গত বছর আগস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই কমে গিয়েছে পেট্রাপোলে যাত্রী পরিষেবা। পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পর থেকে যাত্রী আরও কমে গিয়েছে বলেই জানাচ্ছে রিপোর্ট। এমনকি বন্দরের বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের সংখ্যাও তলানিতে ঠেকেছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |