সম্পর্কে অবনতি, ৬ দূতকে দিল্লি ছাড়ার নির্দেশ! ভারত কানাডার মধ্যে নতুন করে শুরু উত্তেজনা

Published on:

new delhi

প্রীতি পোদ্দার: গত বছর ২৩ জুন খুন হয়েছিলেন খলিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জর। আর এই খুনের দোষ সম্পূর্ণরূপে ভারতের গুপ্তচর সংস্থার উপর চাপিয়ে দিয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। এমনই অভিযোগ করেন তিনি। যদিও সেই সময় সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সেই অভিযোগ সম্প্রতি যেন নতুন আকার নিয়েছে। ফের ভারতীয় দূতাবাসের হাইকমিশনার সঞ্জয়কুমার বর্মার বিরুদ্ধে কানাডার তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে যে, সঞ্জয়কুমার বর্মা এই মামলায় ‘স্বার্থ সম্পর্কিত ব্যক্তি’। যেহেতু তাঁকে ঘিরে কূটনৈতিক রক্ষাকবচ রয়েছে তাই তাঁর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ করা হচ্ছে না।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

কানাডা সরকারকে চাপে ফেলল দিল্লি!

আর এই মন্তব্যের পর দিল্লি ক্ষুব্ধ হয়ে যায়। আর এই মন্তব্যের জেরে পাল্টা ভারতে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত স্টুয়ার্ট হুইলারকে তলব করে। তাঁর কাছে গোটা বিষয়ের ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়। এবং ফের আরও একবার স্পষ্ট জানানো হয় যে কানাডা সরকার যে অভিযোগ তুলছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এদিন হুইলারকে আরও বলা হয় যে কানাড়ায় ভারতীয় হাইকমিশনার ও দূতাবাসের অন্য কর্মীদের যেভাবে টার্গেট করা হয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে কানাডা সরকারের আশ্বাসে নয়াদিল্লি বিশ্বাস রাখতে পারছে না। তাই কানাডায় ভারতীয় দূতাবাসের হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার বর্মা ও অন্যদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। আর এই আবহেই এবার কানাডা দূতাবাসের ছয় কূটনীতিককে অবিলম্বে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিল বিদেশ মন্ত্রক।

বড় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বিদেশ মন্ত্রকের!

কানাডা থেকে ভারতীয় হাইকমিশনারকে প্রত্যাহারের পর এবার কানাডা দূতাবাসের ছয় কূটনীতিককে ফেরৎ পাঠানোর সিদ্ধান্ত ভারতের। জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্যার দিকে বিদেশ মন্ত্রকেরতরফে একটি ঘোষণা করা হয়। যেখানে বলা হয় আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত কানাডায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের হাইকমিশনার এবং অন্য কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে ভারতের মাটি ছাড়তে হবে কানাডা দূতাবাসের অ্যাক্টিং হাইকমিশনার, ডেপুটি হাইকমিশনার, ফার্স্ট সেক্রেটারি-সহ মোট ৬ কূটনীতিককে।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

তবে কানাডা সরকারের এহেন আচরণে পিছনে নির্বাচনের গো ধ পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ সামনেই কানাডায় পার্লামেন্ট নির্বাচন হতে চলেছে। আর তাই নতুন করে নিজ্জর হত্যা নিয়ে রাজনীতি শুরু করতে চলেছে ট্রুডো সরকার। আর তাঁর একমাত্র লক্ষ্য হল কট্টরপন্থী খলিস্তানি গোষ্ঠীগুলির সমর্থন আদায় করা।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group