রেঞ্জ ১০০০ কিমি, নিমেষে গুঁড়িয়ে যাবে সবকিছু! বিধ্বংসী মিসাইল তৈরি করল চিন

Published on:

China Air-To-Air Missile

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বিশ্ব মঞ্চে বিরাট চমক চিনের! এতদিন যুদ্ধবিমানের মধ্যে দেশগুলির মুখোমুখি লড়াই ছিল পরিচিত ছবি। তবে এখন সেসব ইতিহাস। প্রযুক্তির অগ্রগতিতে এবার এমন এক যুদ্ধবিমান তৈরি করে ফেলল বেজিং, যা রীতিমতো রাতের ঘুম উড়িয়ে দেবে কিছু দেশের। হ্যাঁ, এর নায়ক হল এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল (China Air-To-Air Missile), যার রেঞ্জ নাকি 1000 কিমি! 

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

সম্প্রতি চিন দাবি করছে যে, তারা সফলভাবে এমন একটি হাইপারসনিক এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষা করেছে, যার পাল্লা নাকি 800 থেকে 1000 কিলোমিটার পর্যন্ত। আর এই দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে বিশ্ব মঞ্চের আকাশযুদ্ধের সংজ্ঞা একেবারে বদলে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

কী বলছে রিপোর্ট?

সাম্প্রতিক চিনের এই দাবি প্রকাশ্যে এনেছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। তাদের রিপোর্ট বলছে, এই হাইপারসনিক মিসাইলের গতি হবে Mach 5 বা তারও বেশি। অর্থাৎ, শব্দের গতির প্রায় পাঁচ গুণ। বিশেষজ্ঞরা বলছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র যদি সত্যিই বাস্তবে আসে, তাহলে আমেরিকার F-22 Raptor কিংবা F-35 Stealth Fighter এর মতো আধুনিক যুদ্ধবিমানগুলিও নিমেষে গুঁড়িয়ে যাবে।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্বে যে সমস্ত এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, তার মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী হিসেবে রাশিয়ার R-37M (350-400 কিমি) এবং আমেরিকার AIM-174B (প্রায় 400 কিমি) কেই ধরা হয়। এমনকি ভারত নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে Astra Mk-1 এবং দেশের উন্নয়নের পথে রয়েছে Astra Mk-2 ও Mk-3। তবে চিনের এই 1000 কিলোমিটারের ক্ষেপণাস্ত্র যদি সত্যিই বাস্তবে রূপ নেয়, তাহলে বিশ্বের অন্যান্য শক্তিধর দেশের থেকে তা অনেকটাই এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বের রণক্ষেত্রের মানচিত্র বদলে দেবে।

ভারতের জন্য কতটা চিন্তার?

দেখুন, ভারতের পক্ষে নিঃসন্দেহে এটি চিন্তার বিষয়। কারণ, বর্তমানে ভারতীয় বায়ু সেনার হাতে যে Astra সিরিজের মিসাইল রয়েছে, সেগুলির রেঞ্জ চিনের দাবীকৃত মিসাইলের থেকে অনেকটাই কম। আর যদি চিন এই মিসাইল বাস্তবে রূপ দেয়, তাহলে শুধু তা যুদ্ধবিমান নয়, বরং ভারতের গুরুত্বপূর্ণ AWACS এবং AEW&CS-এর মতো বিমানের জন্যও বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে। আর এই মিসাইল এতটাই দীর্ঘ পাল্লার যে, এর প্রতিরোধ করার উপায় বোঝারও সুযোগ থাকবে না।

আরও পড়ুনঃ আবারও কমলো সোনার দাম, রুপো নিয়েও সুখবর! আজকের রেট

এমতাবস্থায় ভারতের পক্ষে তিনটি রাস্তা খোলা রয়েছে। প্রথমত, হাইপারসনিক এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলের গতি বাড়াতে হবে। দ্বিতীয়ত, ISRO এবং DRDO-যৌথভাবে এমন কোনো প্রযুক্তি বা রাডার সিস্টেম তৈরি করতে হবে, যা এত দূর থেকে ছোড়া হাইপারসনিক মিসাইলকে শনাক্ত করতে পারে। এর পাশাপাশি প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ নজরদারি বিমানকে উন্নত ইলেকট্রনিক কাউন্টার মেজার এবং এসকর্ট ফাইটার কভার দিতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group