বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বহু আগেই বিশ্বের ব্যস্ততম বাণিজ্য পথ হরমুজ প্রণালী (Strait of Hormuz) বন্ধের হুমকি দিয়েছিল ইরান। শোনা যাচ্ছে, সেই মতোই এবার পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস করিয়ে নিয়েছে খামেনির দেশ। এমতাবস্থায়, হরমুজ প্রণালী বন্ধ হয়ে গেলে বিশ্ব বাণিজ্য যে, বড়সড় ধাক্কা খাবে সে কথা বলাই যায়। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, হরমুজ প্রণালী হয়ে অন্তত 44 শতাংশ জ্বালানি পৌঁছয় এশিয়ায়।
আর সেই সূত্র ধরেই ইরানের সবচেয়ে বড় তেল আমদানিকারক চিন এবং ভারত বাণিজ্যের রাস্তা বন্ধ হলে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়বে। তবে বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিলে ইরানের অর্থনীতিও একপ্রকার মুখ থুবড়ে পড়বে। ফলত, মুখে বাতেলা ঝরালেও দুর্বল অর্থনীতির আশঙ্কা ও চিন, ভারতের চাপে হরমুজ প্রণালী পাকাপাকিভাবে বন্ধ করবে না তেহরান।
হরমুজ প্রণালী ভারতের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
প্রথমেই বলে রাখি, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্য বিশেষত তেল এশিয়ায় পৌঁছয় এই হরমুজ প্রণালী দিয়েই। বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিদিন এই পথ দিয়েই প্রায় 20 লক্ষ ব্যারেল তেল সরবরাহ করা হয়। কাজেই এই পথ পাকাপাকিভাবে বন্ধ হয়ে গেলে ইরানের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার চিন ও ভারত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বলে রাখি, ভারত যেহেতু 85 শতাংশ তেল বিদেশ থেকে আমদানি করে। ফলত, মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশ যেমন ইরানের, ইজরায়েল, কুয়েত, আরব আমিরাতের মতো রাষ্ট্রগুলি থেকে তেল আমদানির ক্ষেত্রে এই হরমুজ প্রণালী ভারতের জন্য বিশেষ গুরুত্ব রাখে। কাজেই বোঝাই যাচ্ছে, এই ব্যস্ত পথ বন্ধ হয়ে গেলে অন্তত তেল নিয়ে যথেষ্ট ভোগান্তি পোহাতে হবে দিল্লিকে।
অবশ্যই পড়ুন: নাম নেই স্কোয়াডে, ভারতের বিরুদ্ধে স্টোক্সের জায়গায় আরেক ভারতীয়! কে এই প্লেয়ার
হরমুজ প্রণালী বন্ধ করতে পারবে না ইরান!
বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দাবি করছেন, হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে চিনের। আসলে তেল আমদানির ক্ষেত্রে ইরানের সবচেয়ে বড় অংশীদার ড্রাগনের দেশ। ফলত, প্রকাশ্যে ইরানের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা না করলেও আড়াল থেকে গোপন চাল চালবে জিনপিং সরকার! অনেকেই বলছেন, তেল আমদানির ক্ষেত্রে ক্ষতি সহ্য করতে পারবে না ড্রাগন! আর সেজন্যই হরমুজ প্রণালী যাতে বন্ধ না হয় তার আপ্রাণ চেষ্টা করবে বেইজিং।
শুধু কি তাই? বিশেষজ্ঞদের দাবি, হরমুজ প্রণালী বন্ধ হয়ে গেলে চিন, ভারতের থেকেও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইরান। আসলে ইরানের অর্থনীতির প্রধান মেরুদন্ড তেল, গ্যাস ও পেট্রোকেমিক্যালস। কাজেই, হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে নিজের আর্থিক ক্ষতি কখনই চাইবে না খামেনির দেশ। তার ওপর আবার ইজরায়েলের সাথে সংঘর্ষের আবহে, যেখানে প্রতিদিন সামরিক ক্ষয়ক্ষতির কারণে বিপুল আর্থিক দণ্ডি গুনতে হচ্ছে ইজরায়েলের একসময়ের বন্ধুকে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |