বাংলাদেশের বাজারে ভরে গিয়েছে চিনা পণ্য

Published:

Updated:

China-Bangladesh Trade
Follow

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতকে প্যাঁচে ফেলতে গিয়ে বারংবার নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মেরেছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে উপকারী প্রতিবেশীকে ফাঁপরে ফেলতে চিনের সাথে সখ্যতা বাড়িয়েছিলেন ইউনূস।

এবার সেই জালে জড়িয়ে ফ্যাসাদে পড়লেন নিজেই। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের পর এবার বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দাপট দেখাতে শুরু করেছে চিন। আসলে আধিপত্যের চরিত্রকে ধরে রেখেই ওপার বাংলাতেও নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করতে মরিয়া জিনপিং সরকার। যার জেরে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে মাসুল গুনতে হচ্ছে পদ্মা পাড়ের সরকারকে।

বাংলাদেশি বাণিজ্যকে হাত করেছে চিন

হাসিনা সরকারের পতনের পরই পাকিস্তান ও চিনের আরও কাছাকাছি গিয়েছে বাংলাদেশ। দুই ভারত বিরোধীর সাথে হাত মিলিয়ে লাভের রাস্তা খুঁজতে গিয়ে একেবারে ল্যাজেগোবরে অবস্থা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার আসনে অযোগ্য বলে অভিযুক্ত ইউনূস। সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, বাংলাদেশের বাজারে ভরে গিয়েছে চিনা পণ্য।

বিগত বছরগুলিতে বাংলাদেশ যে হারে চিনের ওপর বাণিজ্যিক দিক থেকে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, তাতে আগামী আর কিছু বছরের মধ্যেই সে দেশে কর্তৃত্ব ফলাবে চিনারাই! সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী 2023-24 আর্থিক বছরে মোট আমদানির 25 শতাংশেরও বেশি চিন থেকে পণ্য এসেছে বাংলাদেশে। এর আগে যেই অঙ্কটা ছিল 20 শতাংশেরও কম।

বাংলাদেশি পণ্য আমদানি কমিয়েছে চিন

বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বিগত বছরগুলিতে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য চিনের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা বাড়লেও বাংলাদেশ থেকে সে অর্থে আমদানি কমিয়ে দিয়েছে ড্রাগনের দেশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, 2018-19 বর্ষে চিনে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল 2.1 শতাংশ, যা 2023-24 আর্থিক বছরে পৌঁছে 1.6 শতাংশে এসে ঠেকেছে। কাজেই এ কথা স্পষ্ট যে, চিন থেকে আমদানি বাড়লেও সাম্প্রতিক সময়ে ক্রমশ কমেছে রপ্তানি। অর্থাৎ চিনের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা হ্রাস পেয়েছে।

অবশ্যই পড়ুন: বাঘ থেকে ভিজে বিড়াল! চুনোপুঁটি UAE-র কাছে হেরে নাক কাটাল বাংলাদেশ

প্রসঙ্গত, প্রতিমুহূর্তে ভারতের বিরুদ্ধে গলা ফাটানো বাংলাদেশ কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের ওপর নির্ভরশীল। দাদা চিন যেখানে বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীলতা একেবারে কমিয়ে এনেছে সেই পর্বে দাঁড়িয়ে ভারত-বাংলাদেশের রপ্তানি ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। 2018-19 সালে যেখানে দুই দেশের বাণিজ্য ছিল 3.1 শতাংশ, তা এক লাফে 3.5 শতাংশে এসে পৌঁছেছে।

যার অর্থ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্রমশ শক্তিশালী হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ওপার বাংলার দ্বিচারিতা ও একাধিক কু-মন্তব্যের কারণে পদ্মা পাড়ের সাথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতীয় সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। সেই সাথে স্থল বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞার পর বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন আগামী কিছুদিনের মধ্যেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকবে।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join