বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: কূটনৈতিক মহলে আরও কোণঠাসা হল পাকিস্তান। পহেলাগাঁও জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাস দমনে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিল ব্রিকস সংসদীয় ফোরাম। জানিয়ে রাখি, ব্রিকসের এই ফোরামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বন্ধু বলে গলা ফাটানো চিন (China)!
হ্যাঁ, এক যৌথ বিবৃতিতে অন্যান্য দেশের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে ড্রাগনের দেশ চিনও। তালিকায় নাম রয়েছে অন্যতম শক্তিশালী দেশ ইরানেরও। তাহলেই বুঝুন এখন পাকিস্তানের অবস্থা ঠিক কোন পর্যায়ে!
ব্রিকসের অনুষ্ঠানেই হাত শক্ত হল ভারতের
সম্প্রতি ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়া 11তম ব্রিকস পার্লামেন্টারিতে অংশ নিয়েছিল ভারত, রাশিয়া, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইথিওপিয়া ও ইরানের মতো দেশ। এদিন সেই অনুষ্ঠানেই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সভাপতিত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক বসেছিল। আর সেই বৈঠকেই পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা নিয়ে সরব হয় একাধিক দেশ।
ওই বৈঠকে ভারতীয়দের মৃত্যুর নেপথ্য থাকা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়। সেই সাথেই একটি যৌথ বিবৃতিতে, চিন, ইরানের মতো দেশগুলি ভারতের পাশে থাকার বার্তা স্পষ্ট করে দিয়েছিল। জানা যায়, এদিন সন্ত্রাসবাদ নিধনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মতো একাধিক বিষয়ে প্রস্তাব করেন ওম বিড়লা। ভারতের তরফে এমন প্রস্তাবকে সাদরে গ্রহণ করেছে ব্রিকসের অন্যান্য দেশগুলি। ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েই সন্ত্রাস দমনের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ব্রিকসের সদস্য দেশগুলি।
ব্রিকসের 12 তম সংসদীয় ফোরামেও অংশ নেবে ভারত
গত 5 জুন ব্রাজিলে শেষ হয়েছে সভা। দুদিনের ব্রিকস সংসদীয় ফোরামে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা ও বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি আসন্ন 12 তম সংসদীয় ফোরামের জন্য লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। অর্থাৎ আগামী সংসদীয় ফোরামেও স্বগর্বে অংশ নিচ্ছে ভারত।
অবশ্যই পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচন ঘোষণা করেও শান্তি নেই, বিরাট ফ্যাসাদে পড়লেন ইউনূস!
প্রসঙ্গত, ভারতের সাথে 4 দিনের সংঘাতে পাকিস্তানকে একেবারে হাত খুলে সমর্থন করেছিল চিন। ড্রাগনের তরফে ড্রোন থেকে শুরু করে, উন্নত অস্ত্রশস্ত্র ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পেয়েছিল ইসলামাবাদ। তাছাড়াও পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার আশ্বাস দিয়েছিল চিন। এবার সেই পাক বন্ধুই ভারতের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে, যেই ঘটনা পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে ধাক্কা দিলেও অনেকেই বলছেন এটি আসলে জিনপিং সরকারের কূটনৈতিক চাল।।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |