বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: যা হওয়ার তাই হল! পুনরায় বিমান পরিষেবা চালু করতে এবং ভারতের সাথে পুরনো সম্পর্ক ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছিল চিন (China)। এবার সেই সূত্র ধরেই, পাকিস্তান, বাংলাদেশকে এড়িয়ে ভারতের সাথে সম্পর্ক মজবুত করার পথে হাঁটল ড্রাগনের দেশ। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, ইতিমধ্যেই ভারত এবং চিন দুই দেশই নদীর জলপ্রবাহের তথ্য ভাগাভাগি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা দুই ইসলামিক রাষ্ট্র পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে বড় ধাক্কা দেবে, বলাই যায়!
ভারতের সাথে সম্পর্ক মজবুত করার পথে চিন
গত বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি ও চিনা উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান উইডংয়ের মধ্যে দুই দেশের সম্পর্ক পুনরায় ফিরিয়ে একটি বৈঠক করা হয়। জানিয়ে রাখি, গত 12 ও 13 জুন পর্যন্ত দুই দিনের সফরে ভারতে ছিলেন চিনের উপরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আর সেই সময়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব মিশ্রির সাথে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারেন তিনি। বলা বাহুল্য, গত 27 জানুয়ারি বেইজিংয়ে বিক্রমের সাথে প্রথম বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার এটি উইডংয়ের দ্বিতীয় বৈঠক ছিল।
বিদেশ মন্ত্রকের প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী, ভারত এবং চিন দু পক্ষই গত জানুয়ারিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতির ওপর জোর দিয়েছিল। জানা যাচ্ছে, সেই বৈঠকের পর দ্বিতীয় বৈঠক সম্পূর্ণ হতেই এবার ভারত এবং চিনের মধ্যে পুনরায় সরাসরি বিমান পরিষেবা শুরু হতে চলেছে! সেই মর্মে নাকি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের সাথে চুক্তি করেছে বেজিং।
শুধু তাই নয়, জানা যাচ্ছে দুই দেশে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ থেকে সহজতর করতে ও দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের ভাব বিনিময় ঠিক রাখতে ইতিমধ্যেই সম্মত হয়েছে দিল্লি ও বেইজিং। তবে এসবের মাঝেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে সীমান্তবর্তী নদীগুলি নিয়ে আলোচনা।
অবশ্যই পড়ুন: হ্যাক করে স্টেডিয়ামের লাইট বন্ধ করে দিয়েছিলাম! IPL নিয়ে আজগুবি গল্প শোনালেন পাক মন্ত্রী
সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র নিয়ে চুক্তির পথে ভারত-চিন!
জানা যাচ্ছে, চিন ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে সীমান্তবর্তী নদীগুলি। সূত্রের খবর, দুপক্ষই নাকি এপ্রিলে হয়ে যাওয়া বৈঠকে জলবিদ্যুৎ সংক্রান্ত তথ্য ও অন্যান্য সহযোগিতা ফের শুরু করার ওপর জোর দিয়েছিল। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এবার আলোচনার ভিত্তিতে সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র জলপ্রবাহের তথ্য একে অপরের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতে পারে দুই দেশ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সিন্ধু জলবন্টন যুক্তি নিয়ে পাকিস্তানের সাথে ঝঞ্ঝাটের আবহে চিনের সাথে চুক্তি বিশ্বমঞ্চে বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে। যা পাকিস্তান, বাংলাদেশকে বড় ধাক্কা দেবে!