প্রীতি পোদ্দার: সময় যত এগোচ্ছে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থার বেহাল দশা। যার ফলে একপ্রকার দেউলিয়া হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। আর সেই আবহে ফের পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিম অংশে বিরাট ঝামেলার সূত্রপাত হল। প্রাণ গেল অনেকের। এর আগে জুলাই মাসেও জমি নিয়ে বিবাদ হয়েছিল, মারা গিয়েছে একাধিক মানুষ।
জমি নিয়ে ফের বিবাদ শিয়া ও সুন্নির মধ্যে
সূত্রের খবর, দিন পাঁচেক আগে আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিমে কুররাম জেলায় অবস্থিত একটা জমি নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষের সৃষ্টি হয় শিয়া ও সুন্নি এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে এতটাই ভয়ংকর হয়ে ওঠে যে এই সাময়িক ঝামেলা বড় বিবাদের আকার ধারণ করে। আসলে পাকিস্তান হল সুন্নি প্রধান দেশ। আর এই দেশে মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৫ শতাংশ হল শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলিম। যার ফলে প্রায়ই তাদের মাঝেমধ্যেই সহিংসতা ও বিভেদের শিকার হতে হয়। তবে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এই বৈষম্য বিবাদ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
কর্তৃপক্ষের শেষ আপডেট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এই সংঘর্ষে অন্ততপক্ষে ৭৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা ২০। পাশাপাশি সংঘর্ষে প্রচুর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে কুররাম শহরের এক উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক অফিসার বলেছেন, সরকার ও অন্য জনজাতিরা এই সংঘর্ষ বন্ধের অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু এতে অবস্থার কোনোরকম পরিবর্তন হয়নি। তবে চেষ্টা আরও জারি করা হয়েছে।
সংঘর্ষে ইরানের তৈরি অস্ত্র ব্যবহার!
আঞ্চলিক সরকারের মুখপাত্র ব্যারিস্টার সইফ আলী জানিয়েছেন যে, উত্তেজনা কম করার জন্য শেষ পর্যন্ত প্রশাসন প্রবীন নেতাদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। তার দাবি, আপাতত দুই পক্ষই সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়েছে। এছাড়াও বিশেষ সূত্রে জন্য গিয়েছে, চলমান সংঘর্ষে নাকি মর্টার শেলের মতো ভারী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। পাখতুনখোয়া প্রদেশের আইনমন্ত্রী আফতাব আলম বলেছেন, এক পক্ষ ইরানের তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করছে বলে জানা গেছে। যা পরে তদন্ত করা হবে।