প্রীতি পোদ্দার: চলতি বছর, গত কয়েক মাস ধরে কোটা সংরক্ষণের আন্দোলনকে ঘিরে টালমাটাল অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। পরিস্থিতি প্রথম দিকে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পরে সেই আন্দোলন এতটাই ভয়ংকর আকার ধারণ করেছিল যে গোটা রাষ্ট্র একেবারে নড়ে গিয়েছে। বাধ্য হয়েই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন শেখ হাসিনা। এবং নিজের প্রাণ বাঁচাতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে সোজা ভারতে চলে আসেন।
অবশেষে গোটা দেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থা সঠিক রাখতে ও বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। যার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন মহম্মদ ইউনূস। কিন্তু পরিস্থিতি এখনও অগ্নিগর্ভ। সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা অনেকগুণ বেড়ে গিয়েছে। দুর্গামূর্তি ভাঙার পাশাপাশি মন্দির ভাঙার খবরও পাওয়া গিয়েছে। তবে সম্প্রতি জানা গিয়েছে হিন্দুদের পাশাপাশি এখন মুসলিমদেরকেও নানা অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে।
নামাজ পড়তে গিয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতি মসজিদে!
প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার ইসলাম ধর্মালম্বীদের কাছে খুবই পবিত্র। এই দিনটিকে তারা ‘জু্ম্মবার’ হিসেবে তুলে ধরে। এই দিনে নামাজ পড়তে সকলেই ঢাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে যান। আর এই দিনেই ঘটে গেল ভয়ংকর বিপদ। গতকালও প্রতিদিনের মত নামাজ পড়তে যান মুসলিমরা। নামাজ শুরু হওয়ার আগে বয়ান করছিলেন খতিব মুফতি রুহুল ইমাম। কিন্তু তাঁর পিছনে বসতে অস্বীকার করল একদল মুসল্লি। বাকিরা প্রতিবাদ করায়, তখনই দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
ঘটনাস্থলে চটজলদি হাজির সেনাবাহিনী!
এদিকে নামাজ না পড়েই বেরিয়ে যান ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল ইমাম। এদিন তিনিও নমাজ পড়ানোর জন্য মসজিদে আসেন। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, নামাজ না পড়েই মসজিদ থেকে চলে যান ইমাম। অনেক আগে থেকেই অশান্তির আশঙ্কা করেছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তাইতো আগে থেকেই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ। সংঘর্ষের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি মসজিদে আসেন।
নুরুল হক নামে এক মুসল্লি বলেন ‘রুহুল ইমাম জোর করে নামাজ পড়াবে পড়াক! কিন্তু মুসল্লিদের ওপর আক্রমণ কেন করল? মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের মেরেছে। মসজিদের ভেতর থেকে কাচ ভাঙ্গা আমাদের ওপর নিক্ষেপ করা হয়।’