ছড়াচ্ছে করোনার নতুন রূপ, হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা! ফের ঘরবন্দি হওয়ার আশঙ্কা দেশজুড়ে

Published on:

covid 19

প্রীতি পোদ্দার: সময়টা ছিল ২০২০। বিশ্ব জুড়ে COVID-19-এর মত ভয়ংকর মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। অবস্থা এতটাই ভয়ংকর হয়ে পড়েছিল যে কোটি কোটি মানুষ মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েছিল। হাসপাতাল আর শ্মশানভূমিতে প্রায় একই চিত্র ধরা পড়েছিল। এখনও সেই ভয়ংকর স্মৃতির কথা মনে পড়লে বুক কেঁপে ওঠে। তাই ২০২০- র করোনার ভয়াবহতা কেউই এখনও ভোলেনি। এবার সেই করোনা ফিরছে নতুন রূপে । নতুন ভ্যারিয়েন্টের নাম রাখা হয়েছে XEC।

XEC এর লক্ষণগুলি কী কী?

WhatsApp Community Join Now

বিজ্ঞানীদের একাংশ জানিয়েছে যে, করোনার প্রথম রূপ যেভাবে গোটা বিশ্ব জুড়ে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল, সেখানে XEC অতটা ভয়ংকর হবে না। এই XEC এর লক্ষণগুলি হল কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা, ক্রমাগত কাশি, গন্ধ বা স্বাদ এর পরিবর্তন, ক্লান্ত বা ক্লান্ত বোধ করা, শরীরে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, খিদে কমে যাওয়া, মাথাব্যথা, ডায়রিয়া ইত্যাদি। জানা গিয়েছে চলতি বছর জুন মাসে জার্মানিতে প্রথম সনাক্ত করা হয়েছিল এই XEC-ভ্যারিয়েন্টকে।
ইউকে-এর NHS সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, টেস্টে কোভিড পজিটিভ হলে কমপক্ষে পাঁচ দিনের জন্য বাড়িতে থাকতে হবে এবং অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ এড়ানোর জন্য কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে।

কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ওমিক্রনের এই স্ট্রেনের বিশ্বব্যাপী কেস সংখ্যা প্রায় ৬০০ ছাড়িয়েছে, যার মধ্যে যুক্তরাজ্যের মধ্যে ৮২টি নিশ্চিত ঘটনা রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এটি প্রভাবশালী স্ট্রেন হয়ে উঠতে পারে। কারণ গত কয়েক সপ্তাহে দেশে COVID-19-এর কারণে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। তাই স্বাস্থ্যবিদেরা এই রোগ আটকানোর জন্য নানা পরামর্শ দিয়েছেন।

তাঁদের মতে, XEC-ভ্যারিয়েন্ট এর অস্তিত্ব মুছে ফেলতে হলে সবার আগে প্রাথমিকভাবে টিকাকরণ করা খুবই জরুরি। কারণ টিকাকরণের মাধ্যমে এই ধরনের ভাইরাস থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া যায়। পাশাপাশি বাইরে বেরোলে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া-স্যানিটাইজার ব্যবহারের মতো স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখা, জনবহুল এলাকা এড়ানো খুবই জরুরি।

সঙ্গে থাকুন ➥
X