সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দিনের পর দিন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর (Pakistani Army) মধ্যে সংকট বাড়ছে। কিছুদিন ধরে জল্পনা চলছিল যে, সেনাদের ভিতরে নাকি কোনোকিছু ঠিকঠাক চলছে না। আর সেই জল্পনাতে আরও নয়া মাত্রা যোগ করলো একের পর এক ফাঁস হওয়া সেনাদের চিঠি।
সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাপ্রধানদের কাছ থেকে পাঠানো একটি গোপন চিঠি ফাঁস হয়েছে। আর সেখানে বলা হয়েছে, সেনাদের হাতে পর্যাপ্ত টাকা নেই, খাবার এবং অস্ত্রের ঘাটতিও মারাত্মক। আর এই চিঠি সামনে আসতেই উত্তাল হয়ে পড়েছে গোটা পাকিস্তান। তবে সবথেকে বিস্ফোরক তথ্য এসেছে রবিবার।
এক গোপন সূত্রের চিঠিতে সেনাদের উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক জানিয়েছেন, একের পর এক সেনা পদত্যাগ করছেন। রিপোর্ট বলছে, কেবল গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পাকিস্তানি রেঞ্জার্সের 1200 জন সেনা একসঙ্গে পদত্যাগ করেছে। আর এর ফলে সীমান্তের দায়িত্ব সামলানো দুষ্কর হয়ে পড়ছে।
দিনমজুরি ভিত্তিতে জওয়ান নিয়োগের উদ্যোগ
সেনাবাহিনীর এই সংকট সামাল দিতে এবার এক বিরাট পথ বেছে নিল পাকিস্তান। দিনমজুরের মতো নাকি দিন প্রতি টাকা দিয়ে জওয়ান মোতায়েন করা হচ্ছে। হ্যাঁ, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের জেনারেল মিলিটারি অপারেশন।
এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, ট্রাইবাল ফাইটার নিয়োগ নামের বিশেষ একটি প্রকল্প চালু করে তাৎক্ষণিক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আদিবাসী যুবকদের সেনাবাহিনীতে নিযুক্ত করতে হবে। আর এই নিয়োগে চুক্তিভিত্তিক কোনো স্থায়ী চাকরি দেওয়া হবে না, আবার মিলবে না কোনও রিটারমেন্টের সুবিধা।
আদিবাসীদের নিয়ে কেন গুরুত্ব?
বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছে, যেহেতু পাখতুনখাওয়া এবং পার্বত্য অঞ্চলের সীমান্ত রক্ষায় বহু সেনা ইস্তফা দিয়েছেন, তাই সেখানকার স্থানীয় যুবকদের সেনাবাহিনীতে মোতায়েন করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের বহু অংশে অস্থায়ী নিয়োগ পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে, যেখানে নিয়োগপ্রাপ্তদের দেওয়া হবে না কোনও স্থায়ী সম্মান, বেতন বা নিশ্চায়তা।
আরও পড়ুনঃ আরও বিপাকে পাকিস্তান! সিন্ধুর পর এবার চেনাবের জল বন্ধ, কিষাণগঙ্গার দিকেও নজর ভারতের
উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা
এদিকে ভারতের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, পাকিস্তানি সেনাদের ভিতরে এই ধরনের নিয়োগ ব্যবস্থা তাদের সামরিক খাতের দুর্বলতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। আর এরকম অস্থায়ী এবং আর্থিক সাহায্যের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ শুধুমাত্র দেশের বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে না, বরং ভারত-পাক সীমান্তের উত্তেজনাকেও আরও বাড়িয়ে তুলছে।