চাল, পিঁয়াজ, আলু, ডিমের পর এবার মেট্রোর টিকিট! ভারতের উপরেই ভরসা বাংলাদেশের

Published on:

dhaka metro ticket

শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ যত সময় গেছে ততই ভারত বাংলাদেশের মধ্যেকার সম্পর্ক রীতিমতো তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। একের পর এক সংঘর্ষের ঘটনা থেকে শুরু করে ইসকন ইস্যুতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার পারস্পরিক সম্পর্ক এখন দুই দেশেরই কাছে যেন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে ভারত যখন বলছে বাংলাদেশে হিন্দুরা বারবার আক্রান্ত হলে তারা চুপ করে বসে থাকবে না, অন্যদিকে বাংলাদেশও বলছে ভারতকে ক্ষমা চাইতে হবে। যাই হোক এত কিছুর মাঝেও বাংলাদেশের ভারতের প্রতি নির্ভরতা কিন্তু কমবে না।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

বিদ্যুৎ বন্টন ব্যবস্থা হোক কার্ড ছাপার ব্যবস্থা, এখনো ভারতের প্রতিই বাংলাদেশকে নির্ভর হয়ে থাকতে হচ্ছে বা আগামী দিনেও তাই থাকতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকেই হয়তো জানেন না যে ঢাকায় যে মেট্রো চলে তার পিছনে ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এখন আপনি নিশ্চয় ভাবছেন যে কী সেই অবদান? তাহলে বিষদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই আর্টিকেলটির ওপর।

ভারত থেকে কার্ড আমদানি ঢাকার

বাংলাদেশে মেট্রোর (Dhaka Metro) জন্য যে কার্ডটি ছাপানো হয় সেটার জন্য ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শুধু ভারতের বললে ভুল হবে ভূমিকা রয়েছে জাপানেরও। এসবের মাঝেই জানা যাচ্ছে, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) আরও ৪ লাখ ৪০ হাজার সিঙ্গেল জার্নি টিকিট আমদানি করবে। ভারত টিকিট ছাপায় এবং জাপান চুক্তি অনুযায়ী চিপস ও কাঁচামাল সরবরাহ করে।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

ঢাকার তরফে জানানো হয়েছে, ‘আমরা সেপ্টেম্বরে নতুন ৪.৪ লক্ষ সিঙ্গেল জার্নি টিকিট কেনার উদ্যোগ নিয়েছি।’ ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রউফ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘নভেম্বরে আমরা ২০ হাজার কার্ড পেয়েছি এবং ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে আরও ২০ হাজার কার্ড পাব ভারতের কাছ থেকে।’ বাকি কার্ডগুলো পর্যায়ক্রমে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে এসে পৌঁছাবে বলে জানান তিনি।

মেট্রোতে বড় বদল

মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, “৩ লাখ ১৩ হাজার সিঙ্গেল জার্নি টিকিট কিনেছেন এবং এর মধ্যে ৬০ হাজার এখনো হাতে রয়েছে। বহু সিঙ্গেল জার্নির টিকিট কেড়ে নিয়েছে এবং কিছু টিকিটও নষ্ট হয়ে গেছে। কার্ডের ডিজাইন নিয়েও একটা আলোচনা ছিল। নতুন ডিজাইনের কার্ড থাকছে না। আগের ডিজাইনেই মেট্রো কার্ড হচ্ছে, কালারটার শুধু বদলাচ্ছে। আর একক যাত্রার কার্ডের রং লাল করে দিচ্ছি যেন সহজে আইডেন্টিফাই করা যায়।”

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group