সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: আবারও আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেল দেখালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। আজ অর্থাৎ শুক্রবার তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, আগামী 1 অক্টোবর থেকে আমেরিকায় আমদানি করা সমস্ত রকম ব্র্যান্ডেড বা পেটেন্ডেড ওষুধের উপর 100% শুল্কের কোপ বসবে। ফলে ভারত থেকে শুরু করে অন্যান্য দেশের ওষুধ রপ্তানিকারকদের কপালে যে পুজোর মুখে আবারও চিন্তার ভাঁজ পড়ল তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
কী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?
এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ট্রাম্প লিখেছেন, আগামী 1 অক্টোবর, 2025 থেকে আমরা যেকোনও ব্র্যান্ডেড কিংবা পেটেন্ট করা ওষুধের উপর 100% শুল্ক আরোপ করতে চলেছি, যদি সেই কোম্পানি আমেরিকায় তাদের ওষুধ কারখানা না তৈরি করতে পারে, তাহলে তাদেরকে এই শুল্ক গুনতে হবে। তাঁর মতে, ওষুধ কোম্পানিগুলোকে আমেরিকায় বিনিয়োগ করতে আর কোম্পানি খোলাতে বাধ্য করার জন্য শুল্ক বাড়ানো একমাত্র হাতিয়ার।
ভারতীয় ওষুধ শিল্পের উপরে কি প্রভাব পড়বে?
প্রশ্ন উঠছে, আমেরিকার এই শুল্ক নীতির প্রভাব ভারতের ব্যবসায়ীদের উপর ঠিক কতটা পড়বে? প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের মোট ফার্মা রপ্তানির 40% মার্কিন বাজারে যায়। আর বড় বড় ওষুধ কোম্পানির আয়ের 40 থেকে 50% আমেরিকা থেকেই আসে। সেই সূত্রে যদি 50% শুল্কও বসানো হয়, তাহলে 2025-26 অর্থবর্ষে সংস্থাগুলির লাভ 5 থেকে 10% পর্যন্ত তলানিতে ঠেকতে পারে। আর যদি 100% শুল্ক বসে, তাহলে এদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল রপ্তানি অনেকটাই পিছিয়ে পড়বে, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
শুধু ওষুধ নয়, থাকছে অন্যান্য পণ্যেও শুল্ক
প্রসঙ্গত, ট্রাম্প শুধু এখানেই থেমে থাকেননি। তিনি একদিন আগেই ঘোষণা করেছিলেন, কিচেন ক্যাবিনেট এবং বাথরুম ভ্যানিটিতে 50% শুল্ক বসবে। পাশাপাশি আসবাবপত্রে 30% শুল্ক বসবে এবং হেভি ট্রাক আমদানিতে 1 অক্টোবর থেকে 25% শুল্ক আরোপ করা হবে। যদিও এর পিছনে কোনওরকম ব্যাখ্যা দেননি ট্রাম্প।
উল্লেখ্য জানিয়ে রাখি, 2024 সালে আমেরিকার প্রায় 233 বিলিয়ন ডলার মূল্যের ওষুধ আমদানি করেছিল। ফলে এই নতুন শুল্ক নীতির ফলে বাজারে ওষুধের দাম বাড়বে কিনা, তা নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় সাধারণ মানুষ। যদিও ট্রাম্প দাবি করছে যে এতে গ্রাহকদের উপরে কোনও প্রভাব পড়বে না।