বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ফের ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেখা পেতে সোজা হোয়াইট হাউসে পৌঁছলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। তবে তিনি একা নন, এবার ফিল্ড মার্শালের সাথে ট্রাম্পের দরবারে হাজির হয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফও। তবে জানা যায়, হোয়াইট হাউসে পৌঁছে ট্রাম্পের সাথে বৈঠকের জন্য বেশ খানিকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছিল পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলটিকে। কারণ, ওই সময়ে চিনের সাথে টিকটক চুক্তির নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করার পর সাংবাদিকদের সাথে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ট্রাম্প। পরে অবশ্য গোপনে পাক প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক সারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Donald Trump-Shehbaz Sharif Meeting)।
বৈঠকে পাক প্রতিনিধি দলের সাথে কী কথা হল ট্রাম্পের?
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল 5টার আগেই হোয়াইট হাউসে পৌঁছেছিলেন পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল। পরবর্তীতে 6টা বেজে 18 মিনিটে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করেন তারা। জানা যায়, ট্রাম্পের সাথে পাক প্রতিনিধিদের বৈঠক শুরুর কথা ছিল বিকেল সাড়ে চারটে থেকে। তবে ট্রাম্প সাংবাদিকদের সাথে ব্যস্ত হয়ে পড়ার কারণে পাক প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সেনাপ্রধান সহ অন্যান্য প্রতিনিধিদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল। যদিও, সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্পের একটি মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি বলছিলেন, তারা আসছে, সম্ভবত এই ঘরেই আসবেন। জানি না, আমাদের একটু দেরি হয়ে গেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সময় থেকে একটু দেরিতে হলেও পাক প্রধানমন্ত্রী ও আসিম মুনিরের সাথে গোপন বৈঠক সেরেছিলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট। যদিও সেখানে কোনও তরফের মিডিয়াকেই থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এছাড়াও হোয়াইট হাউসের তরফেও বৈঠকের কোনও ছবি বা ভিডিও প্রকাশ্যে আসেনি। কাজেই, এদিন দু’ পক্ষের মধ্যে কী কথা হয়েছে তা জানা সম্ভব নয়। তবে যা জানা গিয়েছে তাহলে হল, পাক প্রতিনিধি দলের সাথে ট্রাম্পের বৈঠকটি সর্বোচ্চ 20 মিনিট চলেছিল। যেখানে ট্রাম্পের সাথেই উপস্থিত ছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সড এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
অবশ্যই পড়ুন: পুজোয় বড় চমক ইমামির! তৈরি হচ্ছে আটার দুর্গা, ভিড়লেন ইস্টবেঙ্গল প্লেয়াররাও
প্রসঙ্গত, আমেরিকার তরফে বৈঠকের আগের এবং পরের কোনও ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করা না হলেও পাকিস্তানের তরফে শরীফদের অপেক্ষারত অবস্থার দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পা রেখেছে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার পাক প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকের ইতিপূর্বে পাকিস্তানি নেতাদের প্রশংসা করে তাদের মহান নেতা আখ্যা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই সাথে, আমেরিকার শাসক বলেছিলেন, পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হচ্ছে। সব মিলিয়ে,গত জুলাই মাসে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণার পর প্রথম শরীফ-ট্রাম্পের বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষক মহল।