সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ফের কূটনীতির অঙ্গনে পাকিস্তানের নাম। আর সেই নাম এবার উচ্চারণ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। গাজায় ইজরাইল-হামাস সংঘাত থামাতে গিয়ে ট্রাম্প সম্প্রতি যে 20 দফা প্রস্তাব রেখেছিলেন, সেখানেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার জন্য এবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ও সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে প্রশংসাই ভাসালেন তিনি।
কী বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?
এদিন হোয়াইট হাউসের সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেছেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির শুরু থেকেই আমাদের পাশে ছিলেন। তারা শুধুমাত্র একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, পাকিস্তান এই শান্তি প্রস্তাবের জন্য পূর্ণ সমর্থন দেখিয়েছে। উল্লেখ্য, ট্রাম্প শুধুমাত্র পাকিস্তান নয়, বরং সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, তুরস্ক এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো একাধিক মুসলিম প্রধান দেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শান্তি প্রচেষ্টার সহযোগিতা করার জন্য।
এদিকে এই 20 দফা প্রস্তাবের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি হল গাজায় মানুষদের সরে যেতে দেওয়া হবে না। সেখানে অরাজনৈতিক অন্তবর্তী সরকার গঠন করা হবে। হামাস যদি রাজি হয়, তাহলে 72 ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত ইজরাইলি বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। ইজরাইল ধাপে ধাপে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে আনবে এবং বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে ইজরাইলের জেলে থাকা 250 জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্যালেস্টাইনকে মুক্তি দিয়ে দিতে হবে। যদিও ইজরাইল ইতিমধ্যে ট্রাম্পের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে। কিন্তু হামাস এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
কেন ট্রাম্প পাকিস্তানকে প্রশংসা করছেন?
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ট্রাম্প শেহবাজ শরীফ এবং সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে নিয়ে হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেছিলেন। 2019 সালের পর এই প্রথম কোনও পাকিস্তানী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারলেন। এমনকি বৈঠকের আগে শেহবাজ শরীফকে মহান নেতা আর মুনিরকে মহান মানুষ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন ট্রাম্প।3
আরও পড়ুনঃ বাজেয়াপ্ত করা ৯০ লাখের সোনা লকার থেকে গায়েব! আয়কর দফতরকে দায়ী করল হাইকোর্ট
আসলে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পাকিস্তান আর আমেরিকার সম্পর্ক টানাপোড়নের মধ্য দিয়ে এগচ্ছিল। বিশেষ করে পহেলাগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর ভারত পাকিস্তানের সম্পর্কের আবহে ইসলামাবাদ আরও নতুন করে আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক সমীকরণ সাজাতে চাইছে। আর সেনাপ্রধান হওয়ার পর একাধিকবার আমেরিকায় সফর করেছেন মুনির। এমনকি আমেরিকায় দাঁড়িয়ে ভারতের বিরুদ্ধে সরবও হয়েছেন ফিল্ড মার্শাল।