সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: আবারও বিরাট ঝটকা দিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি এক নির্দেশানামায় স্বাক্ষর করেছেন তিনি যা হিউম্যান রিসোর্স এবং বিদেশী কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে। নতুন নির্দেশনায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, এবার থেকে দক্ষ বিদেশী কর্মী বিশেষ করে H-1B ভিসার (H-1B Visa) মাধ্যমে আমেরিকায় কাজ করতে গেলে অবশ্যই প্রতি কর্মীকে মার্কিন সংস্থাগুলিকে 1 লক্ষ ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় 88 লক্ষ টাকা দেওয়া লাগবে।
আর ওই নির্দেশনায় কোনও নির্দিষ্ট দেশের নামও সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করছে যে, এর সবথেকে বেশি প্রভাব পড়তে পারে ভারতীয় নাগরিকদের উপরেই। কারণ আমেরিকার H-1B ভিসার সবথেকে বড় সুবিধা নিচ্ছে ভারত। রইটার্সের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছর অনুমোদিত H-1B ভিসার 71 শতাংশই ভারতীয় নাগরিক ছিল।
কী এই H-1B ভিসা?
জানিয়ে রাখি, এই H-1B ভিসা হল একপ্রকার অ-অভিবাসী ভিসা। মোদ্দা কথা, এর মাধ্যমে বিদেশি দক্ষ কর্মীরা সাময়িকভাবে আমেরিকায় গিয়ে কোনও সংস্থার হয়ে কাজ করতে পারে। আর এই ভিসা মূলত বিজ্ঞান, গণিত, তথ্য প্রযুক্তি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীদের জন্যই প্রযোজ্য। এই ভিসার প্রাথমিক মেয়াদ মূলত তিন বছর এবং সর্বাধিক মেয়াদ রাখা হয় ছয় বছর। এই ভিসা যাদের আছে, তারা আমেরিকার কর্মীদের সমান বেতন পায় এবং গ্রিন কার্ড বা স্থায়ী নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারে। পাশাপাশি বিদেশ থেকে আসা কর্মীরা H-1B ভিসার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি কর্মজীবনের পরিকল্পনাও করতে পারে।
🚨Major Blow to the Indians working in US
$100K per H-1B visa: Donald Trump officially signs executive order to impose $100,000 (₹88 lakh) fee on #H1B visas ‘annually’
US President #DonaldTrump just made it insanely costly to hire Indian Engineers.
The impact could be… pic.twitter.com/dGHv4GG26w
— Surya Reddy (@jsuryareddy) September 20, 2025
ভারতীয়দের জন্য বর্তমান পরিস্থিতি কেমন?
সরকারের দেওয়া এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের কর্মীরা H-1B ভিসার সবথেকে বেশি সুবিধাভোগী। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, 2025 সালের প্রথমার্ধে অ্যামাজন এবং সহযোগী সংস্থাগুলি মোট 12,000 H-1B ভিসার আবেদন মঞ্জুর করেছিল। আর সেখানে ভারতের অংশগ্রহণ ছিল সবথেকে বেশি। মাইক্রোসফট, মেটার মতো সংস্থাগুলোও 5000 করে ভারতীয় চাকরিপ্রার্থীদের আবেদন অনুমোদন দিয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ ‘ভ্যানচালক থেকে কয়েকশ কোটির মালিক!’ বসিরহাটের দ্বিতীয় শাহজাহান, কে এই শাহানুর মণ্ডল?
আর এই নতুন নির্দেশনার কারণে মার্কিন সংস্থাগুলি অতিরিক্ত ব্যয়ভার বহন করবে তা বলা যায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, এর প্রকৃত বোঝা পড়তে পারে মূলত ভারতীয় আবেদনকারীদের উপরেই। অর্থাৎ, যারা ভিসার মাধ্যমে আমেরিকায় কাজ করতে আসবে, তাদেরকে এবার এই অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হবে। ফলে ভারতীয় প্রফেশনালদের জন্য চাকরি পাওয়া আর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া এবার আরও জটিল হয়ে উঠবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।