সাবধান ভারতের শত্রুরা! ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে বিরাট চাপে ট্রুডো, দিন গুনছে চিন-পাকিস্তানও

Published on:

trump modi sharif jinping

শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আমেরিকার মসনদে ফের রাজকীয় প্রত্যাবর্তন হল ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump)। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে যেখানে ফলাফল ২৯৫, সেখানে কমলা হ্যারিসের পক্ষে ভোট গিয়েছে ২২৬। যাইহোক, এদিকে ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরতেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তরফে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে আগামী দিনে ‘নতুন’ আমেরিকার সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছে ভারত, সেটাও জানাতে ভোলেননি প্রধানমন্ত্রী। যদিও ভারত ও আমেরিকার এহেন বন্ধুত্ব দেখে বহু শত্রু দেশ সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই বলে খবর। বিশেষ করে চিন ও পাকিস্তান যে চাপে পড়বে সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না বলে মনে করছে বিশিষ্ট মহল।

ঘুম উড়ল ভারতের শত্রুদের!

WhatsApp Community Join Now

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই জয় ভারতকে শক্তিশালী করবে। বিশেষ করে যে কানাডা ভারতের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে, তাদের কণ্ঠস্বর ক্ষীণ হবে। অস্ত্র রফতানি, যৌথ সামরিক মহড়া এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে প্রযুক্তি হস্তান্তরও চিন ও পাকিস্তানের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করবে। অন্যদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইসরায়েল শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধও শীঘ্রই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ট্রাম্প ব্যবসাকেন্দ্রিক। তাই তার কিছু পদক্ষেপের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভারতকে কিছু জায়গায় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতে পারে বলেও দাবি করা হচ্ছে।

ভারত-আমেরিকার নতুন অধ্যায় শুরু!

ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই ভারত ও আমেরিকার মধ্যে আবার নতুন অধ্যায় শুরু হতে চলেছে। এর ফলে জানুয়ারি থেকে ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্ক আরও একবার উষ্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে আমেরিকার মনোভাব দেখে পিছু হটতে হবে।

বদলে যাবে ট্রুডোর সুর!

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কানাডার হিন্দু মন্দিরে হামলার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তৎক্ষণাৎ এর সমালোচনা করেন। ট্রাম্প এই হামলার নিন্দা জানান। খালিস্তান ইস্যুতেও ট্রাম্পের অবস্থান স্পষ্ট। সে এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের হিংসা চায় না। তাই কানাডাকে তাদের দেশে উপস্থিত খালিস্তানিদের তাদের পদক্ষেপ বন্ধ করার জন্য একটি বার্তা দিতে হবে। কানাডার এই বার্তা খালিস্তানীদের মন খারাপ করতে পারে এবং তারা কানাডায় নতুন সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে খবর।

এবার শেষ হবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ?

ট্রাম্পের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে গিয়েছে। কারণ ট্রাম্প যেমন রাশিয়াকে চান। অতীতেও তিনি বিবৃতি দিয়েছেন যে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এই যুদ্ধে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, তাই এই যুদ্ধের অবসান হওয়া উচিত। এর সঙ্গে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন ইস্যুরও দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প।

বাংলাদেশ ইস্যুতেও ভারতের পাশে ট্রাম্প

ট্রাম্প বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর অত্যাচার ইস্যুতে যেভাবে ভারতের পক্ষ নিয়েছেন, সেটা দেখে এটা স্পষ্ট যে ট্রাম্প বিশেষ কয়েকটি ইস্যুতে ভারতকে খোলাখুলি সমর্থন করবেন। ওদিকে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসেরও চাপ বাড়তে পারে। কারণ বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই অভিযোগ করে এসেছিলেন যে, আমেরিকার কারণে তাঁর দেশে এই অচলাবস্থা তৈরি হয়। এমনকি তাঁকে দেশ ছাড়তেও হয়। তাহলে কী ইউনূস আর বাইডেনের যোগসাজেশেই বাংলাদেশ উথালপাথাল হয়েছিল? এবার এই বিষয়ে কড়া নজর দিতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সঙ্গে থাকুন ➥
X