বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: পাক বন্ধু তুরস্কের বিরুদ্ধে এবার একজোট হল প্রতিবেশীরা। জানা যাচ্ছে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের ইসলামিক শাসক হওয়ার স্বপ্ন ভাঙতে এবার আমেরিকার হস্তক্ষেপ দাবি করেছে তুরস্কের প্রতিবেশী দেশগুলি।
বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি তুরস্ক প্রতিবেশী মিশর আমেরিকাকে জানিয়েছে, লিবিয়ার পার্লামেন্ট তুরস্কের সমুদ্র চুক্তিকে যেন অনুমোদন না করে। যদি তা হয় তবে বড়সড় বিপদ দেখা দিতে পারে।
এমতাবস্থায়, গর্জে উঠেছে তুর্কির বাকি প্রতিবেশীরাও। জানা গিয়েছে, মিশর নাকি আমেরিকাকে স্পষ্ট জানিয়েছে, এই চুক্তি অনুমোদিত হলে ভূমধ্যসাগরে উত্তেজনা মাত্রা ছাড়াবে। শুধু তাই নয়, বিরাট ক্ষমতা পেয়ে যাবে তুর্কি।
আমেরিকাকে সতর্ক করল মিশর
সম্প্রতি মিশরের তরফে আমেরিকাকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভুলেও যাতে লিবিয়ার পার্লামেন্টে তুরস্কের সমুদ্র চুক্তি অনুমোদন না হয়। সে বিষয়ে, আমেরিকাকে সতর্ক করে মিশর বলেছে, 2019 সালে প্রথমবারের জন্য লিবিয়ার ওই চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল পশ্চিমা সরকার। তবে এই মুহূর্তে যদি ওই সমুদ্র চুক্তিতে তুরস্ক স্বাক্ষর করে নেয়, সেক্ষেত্রে ভূমধ্যসাগরে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি নাকি আমেরিকার আফ্রিকা বিষয়ক সিনিয়র উপদেষ্টা মাসাদ বোলোসের কাছে স্পষ্ট জানিয়েছেন, আমেরিকার তরফে আশ্বাস মিলেছে যে লিবিয়ার শাসক খলিফা হাফতারের সাথে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। শুধু তাই নয়, মিশরের ওই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, লিবিয়ার পার্লামেন্ট যদি তুরস্কের ওই সমুদ্র চুক্তিতে অনুমোদন দেয় সেক্ষেত্রে ভূমধ্যসাগরের বৃহৎ অংশে নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যাবে এরদোয়ানের দেশ।
অবশ্যই পড়ুন: দিলীপ, শুভেন্দুকে বাদ দিয়ে শমীক ভট্টাচার্য কেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি? প্রকাশ্যে কারণ
সমুদ্র চুক্তি থেকে আদৌ তুরস্ককে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হবে?
জানিয়ে রাখি, 2011 সালে বলা চলে, প্রথমবারের জন্য ফ্রান্স, রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ও মিশরের সমর্থন পেয়েছিলেন হাফতার। আর সেই সমর্থনকে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার পর 81 বছর বয়সী লিবিয়ার আমেরিকান নাগরিক হাফতার লিবিয়ার একটা বিরাট অংশ দখল করে নেন। বলা বাহুল্য, সেই সময় জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকারে পূর্ণ সমর্থন করেছিল তুরস্ক।
পরে তুরস্কের সাথে চুক্তি হয় লিবিয়ার জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকারের। আর এই চুক্তির প্রতিক্রিয়া জানাতে গ্রিস এবং মিশর একে অপরের মধ্যে একটি বড় চুক্তি স্বাক্ষর করে। সেবার প্রথম তুরস্কের ওই সমুদ্র চুক্তির বিরোধিতা করেছিল লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় পার্লামেন্ট। তবে বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে খুব শীঘ্রই তুরস্কের সাথে সমুদ্র চুক্তিতে যেতে পারে হাফতার। যার জেরে এবার অস্বস্তি বেড়েছে গ্রিস ও মিশরের মতো দেশগুলির।
শোনা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই মিশর সফরে যাবেন গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এহেন আবহে প্রশ্ন উঠছে, এসব করে কি আদৌ আটকানো যাবে তুরস্ককে? মূলত সেইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আমেরিকার দ্বারস্থ হয়েছে মিশর। এখন দেখার লিবিয়ার পার্লামেন্টে তুরস্কের সমুদ্র চুক্তি অনুমোদিত হয় কিনা।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |