বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ঘুরতে গিয়েছেন আর আইফেল টাওয়ার দেখেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া সত্যিই দুষ্কর। ক্যাপিটাল অফ ফ্রান্সের শ্যাম্পে দে মার্সে অবস্থিত 330 মিটার উঁচু লোহার নকশা কাটা টাওয়ার বিশ্বের অন্যতম বড় নিদর্শন, বলা ভাল প্রতীকী স্থাপনা। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, 136 বছর পুরনো ঐতিহ্যের আইফেল টাওয়ার এই মুহূর্তে বন্ধ ( 2 অক্টোবর থেকে বন্ধ) রয়েছে (Eiffel Tower Shuts Down)। কিন্তু কেন? তাহলে কি ভেঙে ফেলা হবে ফ্রান্সের এই বড় নিদর্শন?
কেন বন্ধ রয়েছে আইফেল টাওয়ার?
দ্য হিন্দুর রিপোর্ট বলছে, সরকারি বাজেট সংক্রান্ত বিক্ষোভ এবং খরচ কমানোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সম্প্রতি রাস্তায় নেমেছেন ফ্রান্সের জনগণ। গত শুক্রবার, ফ্রান্সের রাজধানীর প্লেস দ্য ইতালিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কয়েক হাজার কর্মী, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি থেকে শুরু করে পড়ুয়ার। আর এই বিক্ষোভে আচমকা বন্ধ করে দেওয়া হয় ফ্রান্সের ঐতিহ্য আইফেল টাওয়ার।
প্যারিসের রাস্তায় প্রবল বিক্ষোভ দেখে আইফেল টাওয়ার কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে, ‘সাধারণ মানুষ পথে নেমেছেন। তাই স্ট্রাইকের কারণে টাওয়ার বন্ধ রয়েছে। এর জন্য আমরা সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’ তবে কর্তৃপক্ষের এমন বিবৃতি সত্বেও শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই ভেঙে ফেলা হতে পারে প্যারিসের আইফেল টাওয়ার। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে খবর বইছে হু হু করে।
অবশ্যই পড়ুন: গঙ্গাসাগর সেতু তৈরির টেন্ডার পেল লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো
সত্যিই কি ভেঙে ফেলা হবে আইফেল টাওয়ার?
সাম্প্রতিক সময়ে ফ্রান্সে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে বিক্ষোভ। সে দেশের ক্ষমতাসীন সরকারের একাধিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে দেশটির শ্রমিক সংগঠনগুলি। তাদের তরফে প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নুকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব আগের সরকারের খসড়া বাজেট প্রস্তাব বাতিল করা হোক।
জানা যায়, ওই বাজেটে, সামাজিক সুবিধা কমানো ও কঠোর অর্থনৈতিক নীতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা মূলত নিম্ন ও মধ্যবিত্ত কর্মীদের ক্রয়ক্ষমতাকেএস সরাসরি প্রভাবিত করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এমতাবস্থায়, ফ্রান্স জুড়ে বাড়ছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। আর ঠিক সেই আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গিয়েছে আইফেল টাওয়ার ভেঙে ফেলার খবর। যদিও SITE, জাতীয় ঐতিহ্য সংস্করণ সংস্থা কিংবা প্যারিস সিটি কর্তৃপক্ষের তরফে এই সংক্রান্ত কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। জানিয়ে রাখি, এর আগে 2018 সালের আগস্টে একই রকম স্ট্রাইকের কারণে টানা দু দিন বন্ধ রাখা হয়েছিল আইফেল টাওয়ারটি।