পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর থেকেই একাধিক নিয়ম বদলের ঘোষণা শোনা যাচ্ছিল। গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন ট্রাম্প। শুরু থেকেই টেসলার সিইও এলোন মাস্কের সাথে মিলে ট্রাম্প কিছু বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যেটা বিশ্ব মার্কেট তোলপাড় করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। আর মাত্র ১৫ দিনের মাথাতেই এই সেই সিদ্ধান্ত।
দেশের অন্যতম আর্থিক সংগঠন বন্ধের সিদ্ধান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের
হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন, দেশের বিশেষ একটি আর্থিক সংগঠনকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেটা জানার পর রীতিমত চমেক গিয়েছেন অনেকেই। একেই নয়া ট্যারিফ নীতির জেরে বিশ্বের বাকি দেশগুলির অবস্থা টাইট হয়ে গিয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে আমেরিকার সরকারের খরচের উপরেও এবার অ্যাকশন নিতে চলেছেন ইলন। কিন্তু কিভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
USAID কি?
১৯৬১ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জন এফ কেনেডি USAID এর তৈরি করেছিলেন। এই সংগঠনের মূল কাজ ছিল দারিদ্রতা দূরীকরণ। চিকিৎসা, অকাল ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকেই শুরু করে বিপদের সময় সাহায্য করা। গোটা বিশ্বে এই সংগঠনের অফিস রয়েছে। প্রতিবছর এই কাজের জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়। এর দ্বারা বেসরকারি সংগঠন, স্বতন্ত্র মিডিয়া ও সামাজিক সংগঠনগুলিকে সমর্থন করা হয়। আধিকারিকদের মতে এটি বিশ্বে ইউএস এর সাথে বাকি দেশের সম্পর্ক তৈরির একটি সফ্ট পাওয়ার টুলের মত কাজ করে।
বন্ধ হচ্ছে USAID?
ট্রাম্পের ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বা USAID পোগ্রাম বন্ধ করার পক্ষেই রয়েছেন ইলন মাস্ক। এমনটা যে হতে চলেছে সেটার কিছুগা আগাম পূর্বাভাস মিলেছে আগে থেকেই। কারণ এই সংস্থার ফান্ডিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, বেশ কিছু কর্মচারীদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। একইসাথে আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রী মার্ক রুবিয়োকে ইউএসআইডির শেষ প্রশাসক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়।
বড় ঘোষণা করলেন ইলন মাস্ক
সম্প্রতি টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, গতকাল অর্থাৎ ৩রা ফেব্রুয়ারি ইলন মাস্ক ঘোষণা করেন USAID পাকাপাকিভাবে বন্ধ করার কাজ চলছে। এর আগেই সংস্থার কর্মীরা CNN-কে জানিয়েছিল যে ৩ রা ফেব্রুয়ারি USAID এর মুখ্য কার্যালয় বন্ধ থাকবে। যাদের একান্ত প্রয়োজন তারাই অফিসে আসবেন যেমন রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা। সংস্থার তরফ থেকেই এই কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে আসার জন্য বলা হবে।
আরও পড়ুনঃ বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে আসবেন আম্বানিরা, তার আগে নিউটাউনে মশা তাড়াতে তৎপর রাজ্য
এখানে অনেকেরই প্রশ্ন কেন USAID এর পিছনে লেগেছেন ইলন মাস্ক? যার উত্তরে জানা যাচ্ছে, যে সংগঠনের যে দুই আধিকারিককে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে তারা ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্মেন্ট এফিসিয়েন্সির লোকদের কোম্পানির ডেটা অ্যাক্সেস করতে বাধা দিচ্ছিলেন। এরপরেই ইলন সংগঠনটি কট্টরপন্থী পাগলের দ্বারা সঞ্চালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। একই সাথে এই সংগঠনটি আদতে দেশের করদাতার টাকায় হেরাফেরি করছে বলেও অভিযোগ করেন।