সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নাগরিকদের জন্য এবার ইউরোপ তাঁদের দেশের তালা বন্ধ করছে। হ্যাঁ, এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। প্রকাশ পেয়েছে 2024 সালের শেনজেন ভিসা প্রত্যাখ্যানের (Visa Cancelled) চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান। রিপোর্ট মারফত জানা যাচ্ছে, ইউরোপে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও অনেক দেশ সেই পথ বন্ধ করে দিচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই মুসলিম দেশের জন্য।
বাংলাদেশীদের জন্য দুঃসংবাদ
হিসাব বলছে, 2024 সালে বাংলাদেশ থেকে মোট 39,345 টি শেনজেন ভিসার আবেদন জমা পড়েছিল। তবে সবথেকে বড় ব্যাপার, এর মধ্যে 20,957 টি আবেদন বাতিল হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, প্রত্যাখ্যানের হার প্রায় 54.9%, যা দেশের নাগরিকদের জন্য বিরাট ধাক্কা ।
এমনকি এই হার 2023 সালের তুলনায় অনেকটাই বেশি। কারণ, 2024 সালে বাংলাদেশীদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার ছিল মাত্র 42.08%। আর সেখানে বছর ঘুরতেই লাফিয়ে অনেকটাই বেড়েছে বাতিলের সংখ্যা। হিসেবে দেখা যাচ্ছে, সুইডেন বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে সবথেকে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছে। এই দেশ থেকে বাতিল হয়েছে প্রায় 67.5% ভিসার আবেদন।
পাকিস্তানের জন্য চিত্রটাও খুব একটা ভালো না
বাংলাদেশের বন্ধু সন্ত্রাসের দেশের ভিসা বাতিলের হারও 2024 সালে 47.5 শতাংশ গিয়ে ঠেকেছে। যদিও 2023 সালের 48.2 শতাংশের তুলনায় এই হার কিছুটা কম। তবুও অবস্থা সংকটজনক। গত বছর পাকিস্তান থেকে 78,362 টি আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে প্রায় 35,139 টি আবেদন বাতিল হয়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছে রিপোর্ট। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সবথেকে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছে অস্ট্রিয়া। যেখানে পাকিস্তানের আবেদন করা ভিসার 83.5 শতাংশই প্রত্যাখ্যান করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ শুরুতেই বেতন ৫৬,১০০ টাকা! টেরিটোরিয়াল আর্মিতে প্রচুর শূন্যপদে চাকরি
ভারতের পরিস্থিতি স্বস্তিদায়ক
তবে এই হতাশার খবরের মধ্যেও ভারতের জন্য রয়েছে খুশির হাওয়া। ইউরোপের কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, 2024 সালে ভারতের নাগরিকদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার মাত্র 15 শতাংশ, যা গোটা বিশ্বের গড় হার 14.8 শতাংশের প্রায় কাছাকাছি।
আর সবথেকে বড় কথা, ভারতীয়দের মধ্যে যারা ভিসা পেয়েছেন, তাদের 63 শতাংশেরও বেশি মাল্টিপেল এন্ট্রি ভিসা অর্জন করতে পেরেছে। অর্থাৎ, তারা একাধিকবার ইউরোপে ভ্রমণ করতে পারবে। তবে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের জন্য হয়তো ভবিষ্যতে ইউরোপের দরজা পুরো বন্ধই হয়ে যাবে। এমনটাই মনে করছে বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ।