শ্বেতা মিত্র, নয়া দিল্লিঃ একের পর এক বৈঠক, আলোচনার পর ভারত ও চিনের মধ্যেকার সম্পর্ক ধীরে ধীরে ভালো হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিগত কয়েক বছর ধরে সীমান্ত উত্তেজনা থেকে শুরু করে নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্কে একপ্রকার তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। তবে এবার দুই দেশের মধ্যে বরফ গলছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। ব্রিকস সম্মেলনের আগে ‘পেট্রোলিং এগ্রিমেন্ট’-এ রাজি হয়েছে চিন। পূর্ব লাদাখে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে চলমান অচলাবস্থা কাটাতে চিন যে ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে বলে মঙ্গলবার স্বীকার করে নিয়েছে।
ভারত-চিনের মধ্যে বরফ গলছে?
২২ থেকে ২৩ অক্টোবর ভলগা নদীর তীরে রাশিয়ার কাজান শহরে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর। তবে এরই আগে চিন বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছে বলেছেন, “সম্প্রতি, চিন ও ভারত চিন-ভারত সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়ে কূটনৈতিক ও সামরিক সম্পর্কের মাধ্যমে কয়েক দফা আলোচনা করেছে।” এদিকে ভারত সরকারের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশরি বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে আমরা চিনের সঙ্গে এ বিষয়ে সহমতে এসেছি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে আলোচনা হয়েছে তার পরিণতিতে ভারত-চিন সীমান্ত এলাকায় এলএসি বরাবর টহলদারি ব্যবস্থার বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। ২০২০ সাল থেকে ওই অঞ্চলে যে সমস্যাগুলি দেখা দিয়েছিল, অবশেষে শান্তিপূর্ণ ভাবে তার সমাধানের একটি পথ পাওয়া গিয়েছে।”
২০২০ সালে গালোয়ান সংঘর্ষ
২০২০ সালে লাদাখের গালোয়ানে ভারত ও চিন সেনার মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় ভারতীয় সেনার প্রায় ২০ জন সেনা জওয়ান নিহত হন। অন্যদিকে চিনেরও বেশ কিছু সেনা নিহত হয় বলে দাবি করা হয়। এদিকে এই ঘটনার জল অনেক দূর অবধি গড়ায়। দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা আংশিক বন্ধ থাকা থেকে শুরু করে দুই দেশের মধ্যেকার ব্যবসা বন্ধ, ভারতে চাইনিজ অ্যাপ বন্ধ থাকা সহ নানা ঘটনা ঘটে। যদিও এবার ৪ বছর পর চিনের বুদ্ধি হয়েছে বলে মনে করছে বিশিষ্ট মহল।