নয়া দিল্লিঃ চীনপন্থী হয়েও বিপদের ছায়া যেন কাটতে চাইছে না দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপের উপর থেকে। এবার মলদ্বীপের যা অবস্থা হল, তা হয়তো ইতিহাসে কোনওদিন হয়নি। রীতিমতো খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে রয়েছে বিখ্যাত এই পর্যটন নির্ভর দেশটি। জানা যাচ্ছে তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে মলদ্বীপ। এখন বড় কিছু খরচ করতে গিয়েও দশ বার ভাবছে দেশটি বলে শোনা যাচ্ছে।
অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে মলদ্বীপ!
মলদ্বীপের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ইব্রাহিম আমির বলেছেন, মালে ব্যর্থতার দিকে যাচ্ছে এবং দেশটির বর্তমান আর্থিক সংকটের মূল কারণ হচ্ছে প্রত্যাশিত রাজস্বের ওপর নির্ভরশীল। আমির বলেন, ফিচ এবং মুডি’সের মতো ক্রেডিট রেটিং এজেন্সিগুলো শীঘ্রই মালদ্বীপের ক্রেডিট র্যাঙ্কিং কমিয়ে দিতে পারে। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, অর্থ সংগ্রহের জন্য আলোচনার জন্য কোনোরকম পদক্ষেপই নিচ্ছে না বর্তমান সরকার।
তিনি বলেন, সরকার কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া ‘বোঝে না। রাষ্ট্রের রাজস্ব নীতি এবং আর্থিক বিষয়গুলি এভাবে আকার দেওয়া যায় না। আমরা যদি ১৬ বিলিয়ন এমভিআর প্রত্যাশিত রাজস্বের উপর নির্ভর করে এই দেশের বিষয়গুলি ছেড়ে দিই, তবে এটিই ঘটবে। সরকার এখন হারে হারে বুঝতে পেরেছে যে জিনিসগুলি ভালো দিকে যাচ্ছে না।’
কী বলছে দেশের সরকারি ব্যাঙ্ক?
ব্যাঙ্ক অব মালদ্বীপ (বিএমএল) রবিবার রুফিয়া কার্ডের সঙ্গে ডলার লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে এবং পূর্বে ইস্যু করা ক্রেডিট কার্ডের সীমা কমিয়ে ১০০ ডলার করেছে। দেশটির জাতীয় ব্যাংক বলেছে যে এই পরিবর্তনগুলি তাত্ক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। বিএমএলের সিইও ও এমডি কার্ল স্টামকে বলেন, এ বছর ন্যাশনাল ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ৬০ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা কিনেছে, কিন্তু কার্ডের ব্যবহার এর চেয়ে তিনগুণ বেশি।
টাকা শেষ হয়েছে যাচ্ছে মলদ্বীপের!
প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি মলদ্বীপের টাকা শেষ হয়েছে যাচ্ছে? আসলে এই সপ্তাহের শুরুতে, মলদ্বীপ মুদ্রা কর্তৃপক্ষ (এমএমএ) অর্থ মন্ত্রকে একটি সতর্কতা চিঠি পাঠানোর মাত্র কয়েকদিন পরে রিপোর্ট করা হয়েছিল যে রাজ্যের ব্যবহারযোগ্য ডলার রিজার্ভ শেষ হয়ে গেছে। মালেভিত্তিক আধাধু জানিয়েছে, দেশের ইতিহাসে এই প্রথম রিজার্ভ শূন্যের নিচে নেমে এসেছে। সেশনস অধাধুকে বলেছিলেন যে ব্যবহারযোগ্য ডলারের রিজার্ভ বর্তমানে শূন্যের নীচে। সরকারের কাছে আজ তেলের বকেয়া বিল হিসেবে রয়েছে আড়াই কোটি ডলার মতো। এবং এই বিল পরিশোধ করা হলে দেশের রিজার্ভ বা দেশের কাছে যা টাকা আছে তা ফুরিয়ে যেতে পারে। যদি এটি মাইনাসে পৌঁছে যায়, তবে দেশের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যাবে।