এয়ারপোর্টে তালা, বন্ধ আকাশসীমা! ভারতীয় সেনার ভয়ে তটস্থ পাকিস্তান

Published on:

Operation Sindoor

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত কাঁপছে। রাতারাতি 9টি জঙ্গি ঘাঁটি ধূলিসাৎ করে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। শুরু হয়েছে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor), নিখুঁত কৌশলগত এক সামরিক অভিযান। যার জেরে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের আকাশপথ। হ্যাঁ, নীরবতা নেমে এসেছে ইসলামাবাদ, লাহোর, করাচির মতো সব বিমানবন্দরগুলিতে। সূত্রের খবর, আগামী 48 ঘন্টার জন্য সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে সন্ত্রাসের দেশের বিমান পরিষেবা।

শুরু হল ভারতীয় আর্মির অপারেশন সিঁদুর

গত 22 এপ্রিল জন্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ নিতে ভারত এবার সন্ত্রাসের দেশের জঙ্গিদের উপর অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছে। ওই বর্বর হামলায় পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞেস করে জায়গার গুলি করে মারা হয়। এমনকি সেখানে 26 জন পর্যটক ছিল, যার মধ্যে একজন বিদেশিও ছিলেন।

আর এই বর্বর জঙ্গি হামলার ঠিক 15 দিনের মাথায় ভারতীয় আর্মি পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) অবস্থিত 9টি জঙ্গি ঘাঁটিকে ধ্বংস করে দেয়। সূত্রের খবর, এর মধ্যে পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে ও শিয়ালকোটে এবং বাকিগুলি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি।

বন্ধ হল পাকিস্তানের আকাশপথ

ভারতীয় আর্মির এই ভয়াবহ অভিযানের পর পাকিস্তানের আকাশপথ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এখন সমস্ত বিমানবন্দর থেকে যাত্রী ও বাণিজ্যিক উড়ান বন্ধ রয়েছে। ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সহ দেশের পাঁচটি বড় বড় এয়ারপোর্টে তালা মেরে দিয়েছে প্রশাসন। আর এর জেরে আকাশপথে বিরাট প্রভাব পড়ছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে।

ইন্ডিয়াহুডের বিশেষ প্রতিবেদন

আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানে স্ট্রাইকের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’ কেন? এর পিছনে রয়েছে মর্মান্তিক কাহিনী

ভারতীয় সেনা, নৌ-সেনা ও বায়ুসেনার যুগ্ম অভিযান

এদিকে এক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌ সেনাবাহিনী এবং বায়ুসেনা। জানা যাচ্ছে, এই হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে প্রিসিশন গাইডেড মিসাইল, ড্রোন এবং ফাইটার জেট। এই অপারেশনের লক্ষ্য একটাই ছিল – জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং লস্কর-ই-তইবার শীর্ষ নেতাদেরকে ধূলিসাৎ করে দেওয়া।

আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানে স্ট্রাইকের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’ কেন? এর পিছনে রয়েছে মর্মান্তিক কাহিনী

তবে এই হামলার পর পাকিস্তানদের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ একে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলেই উল্লেখ করছেন। পাক প্রধানের নেতৃত্বে বুধবার সকালে একটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটির জরুরী বৈঠক ডাকা হয়েছে। শেহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, পাকিস্তান এই যুদ্ধের জবাব দিতে জানে। দেশের সেনা এবং জনগণ শত্রুর সমস্ত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে প্রস্তুত।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥