শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: ভিখারির দশা হওয়া পাকিস্তানের (Pakistan) যেন জ্যাকপট লেগে গেল। এবার এক নদীই ভারতের এই প্রতিবেশী দেশের ভাগ্য বদলে দিতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আসলে ভারতের প্রাচীন সিন্ধু নদ থেকে বেরিয়ে আসছে সোনা। যা কিনা ৬০০ বিলিয়ন পাকিস্তানি টাকার সমান। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এই সিন্ধু নদ পাকিস্তানকে ৬০০ বিলিয়ন পাকিস্তানকে ‘সোনা’ উগড়ে দিচ্ছে বলে খবর। স্বাভাবিকভাবেই এহেন ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে দেশে।
পাকিস্তানের নদীতে মিলছে সোনা!
সিন্ধু নদ, যা হিমালয় থেকে উৎপন্ন হয় এবং ভারত হয়ে পাকিস্তানে যায়, প্রাচীনকাল থেকেই সভ্যতার কেন্দ্র ছিল। ঋগ্বেদেও এই নদীর উল্লেখ রয়েছে। সিন্ধু নদী ৩২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং বিশ্বের দীর্ঘতম নদীগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়। সিন্ধু নদ যেমন লক্ষ লক্ষ মানুষকে তার জলাশয় নিয়ে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে, তেমনই এর ভিতরে লুকিয়ে রয়েছে ৬০০ বিলিয়ন পাকিস্তানি টাকার মূল্যবান ধন সম্পদ। হ্যাঁ, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের অ্যাটক জেলায় সিন্ধু নদে প্রচুর পরিমাণে সোনা এবং অন্যান্য মূল্যবান খনিজ পাওয়া যায়।
এদিকে এলাকায় বেআইনি ভাবে খনন শুরু হয়েছে। গত বছর পাকিস্তান সরকারকে অবৈধ খননের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হয়েছিল। পাকিস্তানের ভূতাত্ত্বিক জরিপের রিপোর্ট অনুযায়ী, সিন্ধু নদে কয়েক বিলিয়ন পাকিস্তানি টাকার সোনার মজুদ থাকতে পারে। রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে শীতের মাসগুলিতে, সিন্ধু নদীর জলের স্তর নেমে যাওয়ার সাথে সাথে স্থানীয়রা নদীর তলদেশ থেকে অবৈধভাবে সোনার কণা সংগ্রহ করে। ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার এখন এই কার্যকলাপে একটি সাধারণ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক সরকারের এক জরিপ রিপোর্টে দেখা গেছে, হিমালয় অঞ্চল থেকে সোনা নিয়ে আসা হচ্ছে এবং পেশোয়ারের আশেপাশের এলাকায় জমা হচ্ছে।
পাকিস্তানে শোরগোল
পাকিস্তান সরকার এখন তা সরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। বালু বা নুড়ির ভিতরে লুকিয়ে থাকা সোনা তোলার জন্য এই এলাকার মানুষ ব্যাপক হারে অবৈধভাবে খনন করছে। এদিকে নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তান সরকার। সরকার ইতিমধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করেছে এবং এখান থেকে সোনা তোলা নিষিদ্ধ করেছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, প্লাসার গোল্ডের মতো মূল্যবান খনিজ পদার্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে প্রচুর অর্থ এনে দিতে পারে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলের পার্বত্য এলাকা থেকে প্রবল স্রোত হওয়ায় সিন্ধু নদে এসে জমা হচ্ছে এই সোনা।