বাংলাদেশের রাজপথে বাড়ছে আন্দোলন! সরকারি কর্মীদের ভয়ঙ্কর রোষের মুখে ইউনূস! ছাড়তে হবে গদি?

Published on:

Government workers in Bangladesh protest

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বাংলাদেশে অচলাবস্থা। ইউনূসের সরকার যায় যায় আবহ। একদিকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির মতো বিরোধীদের নির্বাচন আয়োজনের চাপ, অন্যদিকে চিন, পাকিস্তানের মতো পরা শক্তিদের সাথে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার অভিযোগ, সব মিলিয়ে একেবারে কঠিন অবস্থা, শান্তিতে নোবেলজয়ীর।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

এহেন আবহে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন সে দেশের সরকারি কর্মচারীরা। একটানা চার দিন ধরে ওপার বাংলার রাজপথে নেমেছেন বিভিন্ন দপ্তর ও সরকারি বিভাগের কর্মীরা। মঙ্গলবারও বড়সড় আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন তাঁরা। এমতাবস্থায়, বিরাট চাপে পড়ে গিয়েছেন ইউনূস। নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতাও।

আন্দোলনের চাপে নিরাপত্তা বেড়েছে ইউনূসের

বাংলাদেশের প্রথম সারির এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকেই ইউনূসের সচিবালয় সহ বিভিন্ন সরকারি কার্যালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে কড়া নিরাপত্তায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও বিশেষ বাহিনী সোয়াটকে। জানা যাচ্ছে, বাড়তি নিরাপত্তার কারণে সরকারি কার্যালয় ও সচিবালয়ে সরকার মনোনীত কর্মী ছাড়া আর কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না সাংবাদিকদেরও। তাছাড়াও, ইউনূসের বাসভবন ও সচিবালয়ের পাশের অঞ্চলগুলিতে সভা বা আন্দোলন কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মূলত ঢাকা মহানগর পুলিশের তরফেই শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে তৈরি হয়েছে নিরাপত্তা বেষ্টনি। কিন্তু কেন? কীসের এত ভয় ইউনূসের? পালিয়ে বাঁচতে চাইছেন?

কেন এত নিরাপত্ত, ভয় পাচ্ছেন ইউনূস, কেনই বা আন্দোলন?

ওপার বাংলার কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে যা খবর, সরকারি কর্মচারীদের এমন গণ-আন্দোলনের নেপথ্যে রয়েছে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক বিশেষ সিদ্ধান্ত। অতি সম্প্রতি শেখ হাসিনা সরকারের আমলে তৈরি সরকারি চাকরি আইন 2018 সংশোধন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গত বৃহস্পতিবার এই আইনের সংশোধিত খসড়া অনুমোদিত হয়েছে ইউনূসের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে। আর সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই গণ-আন্দোলনে পথে নেমেছেন বাংলাদেশের হাজার হাজার সরকারি কর্মী!

অবশ্যই পড়ুন: স্মরণে অপারেশন সিঁদুর! IPL-র সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনার জন্য বড় ভাবনা BCCI-র

আন্দোলন জারি রাখার হুঁশিয়ারি

সম্প্রতি ইউনূস সরকারের তরফে অধ্যাদেশ কার্যকর করার বিজ্ঞপ্তি সামনে আসতেই আন্দোলনের গতি আরও বেড়েছে। মূলত ওই অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছিল, বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারীরা যদি এমন কোনও কাজ করেন, যাতে সরকারের কার্যক্রমে বাধা তৈরি হয় কিংবা ওই পদক্ষেপ প্রশাসনের প্রতি অনুগত্যের পরিপন্থী, তবে সেই সব চাকুরীজীবীদের কাজ থেকে বরখাস্ত করে দেওয়া হতে পারে। তাছাড়াও ওই বিবৃতিতে বলা হয়, অযথা কাজ থেকে ছুটি নিলে, প্রয়োজন মতো কাজ না করলে এবং সহকর্মীকে একই কাজের প্ররোচিত করলে সরকারি কর্মীদের চাকরি যেতে পারে।

এছাড়াও শাস্তি পেলে একজন কর্মচারীকে 30 দিনের মধ্যে আদালতের দারস্ত হতে হবে, এমন একাধিক নতুন নিয়ম যুক্ত সংশোধিত আইনের অধ্যাদেশকে চ্যালেঞ্জ করে আন্দোলনে নেমেছেন বাংলাদেশের বহু সরকারি কর্মী। মূলত এই অধ্যাদেশকে কালো অধ্যাদেশ বলে দাবি করেছেন তাঁরা। সেই সাথেই, সরকারি কর্মীদের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, এমন অধ্যাদেশ প্রত্যাহার না করা হলে আগামী দিনেও আন্দোলন চলবে। যদিও ইউনূস সরকারের তরফে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের খবর মেলেনি।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group