প্রীতি পোদ্দার, বেজিং: করোনা আবহে বিশ্বে প্রত্যেক দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটাই নীচে নেমে গিয়েছিল। সংক্রমণ বৃদ্ধি, লকডাউন, মৃত্যুমিছিলে রীতিমত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল বিশ্বের সকল দেশের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতি। তবে ধীরে দিতে সেই পরিস্থিতি অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে বিশ্ব। এমনকি মহামারির উৎসস্থল চিনও অনেকটা উঠে দাঁড়িয়েছে। আর এই আবহে দেশের অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা করতে জিনপিং সরকার এক বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চলেছে।
বেশ কয়েক বছর আগেই দেশের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দর বাড়াতে ‘মুদ্রাসঙ্কোচন’ নীতি চালু করেছিল চিন সরকার। যার ফলে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল ইউয়ানের দাম। এতেই মারাত্মক লাভ হয় সেখানকার বাসিন্দাদের। কারণ ইউয়ানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে চিনে জিনিসপত্রের দাম দিন দিন অনেকটাই কমেছে। সেখানকার জনগণ অনেক সঞ্চয়ী হয়ে পড়ছিলেন। আর এবার দীর্ঘ এক দশক পর সেখানকার সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়াতে চলেছে চিন প্রশাসন।
বেতন বৃদ্ধির পথে চিন সরকার!
বর্তমানে চিনে সরকারি প্রশাসন ও বিভিন্ন পরিষেবা খাতে কর্মরত মোট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ। জানা গিয়েছে চলতি মাস থেকে প্রত্যেক সিনিয়র কর্মকর্তা-কর্মীর বেতন গড়ে ৫০০ ইউয়ান করে বাড়বে যা ভারতীয় মুদ্রার হিসেবে ৫৮৫২ টাকা। এবং জুনিয়র কর্মকর্তা-কর্মীদের বেতন গড়ে ৩০০ ইউয়ান টাকা করে বাড়বে, যা ভারতীয় মুদ্রায় ৩৫১১ টাকা। আর এই বেতন বৃদ্ধিতে আশা করা যাচ্ছে চিনের সমস্ত সরকারি কর্মচারীরা উপকৃত হবেন। শেষবার ২০১৫ সালে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মী বেতন বাড়িয়েছিল চিন প্রশাসন জিনপিং। তখন সরকারী কর্মীদের বেতন ৩০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।
প্রশাসনিক ভান্ডার থেকে ব্যয় হবে বাড়তি টাকা
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চিন সরকারের এই বেতন বৃদ্ধিতে প্রশাসনিক ভান্ডার থেকে বাড়তি খরচ হবে ১২০০ কোটি ডলার থেকে ২০০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ লক্ষ ৩ হাজার কোটি টাকা থেকে ১ লক্ষ ৭২ হাজার কোটি টাকা মত খরচ হবে সরকারের। আর এই বেতনবৃদ্ধির ফলে আশা করা যাচ্ছে চিনের অভ্যন্তরীণ বাজারে টাকার জোগান বাড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই রয়েছে। এমনকি আরও চাঙ্গা হবে অর্থনীতি।