প্রীতি পোদ্দার: শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পরেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটাই নিম্নমুখী হয়ে গিয়েছে। প্রথমদিকে পুজোয় ভারতকে ইলিশ দেবে না বলেও জানিয়েছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বলা হয়েছিল, দেশের মানুষকে সস্তায় ইলিশ খাওয়াতেই ভারতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই বাংলাদেশে এখন বাজারে ইলিশের ছড়াছড়ি। বাজারে এখন গোটা ইলিশের পরিবর্তে মাছের পিস করে বিক্রি শুরু করেছেন দোকানিরা। আর দাম শুনলে মাথায় হাত পড়ছে ক্রেতাদের। দেখা গিয়েছে একশো গ্রাম ওজনের এক টুকরো ইলিশের দাম পড়ছে দুশো টাকা। অর্থাৎ দু হাজার টাকা কেজি।
শুধু কি মাছ, চরছড়িয়ে বাড়ছে সবজির দাম। পটুয়াখালীর উপকূলের হাট বাজারগুলোতে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে সবজির দাম। ৭০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি সবজি বিক্রি হচ্ছে বাজারে। যা একজন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বিক্রেতারা দাবি করছেন, মোকামেই সবজির দাম বেশি। তাই তাদের বেশি দামে বিক্রয় করতে বাধ্য হতে হচ্ছে। তবে তাঁদের আশঙ্কা বাজার যদি মনিটরিং ব্যবস্থা নাথাকে তাহলে সবজির দাম অনেকটাই কমবে।
তরতরিয়ে দাম বাড়ছে সবজির!
সবজি বিক্রেতা হাবিবুর রহমান মুসুল্লি বলেন, অনেক সময় মরশুম অনুযায়ী বিভিন্ন সবজির দাম বৃদ্ধি পায়। যেহেতু কাঁচামালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী, তাই সব শাকসবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে একযোগে। ফলে অধিকাংশ ক্রেতারা দাম শুনেই চলে যাচ্ছেন কিছু না কিনেই। সেখানকার স্থানীয় সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে লাউ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৩০, টমেটো ৩০০, বরবটি ১২০, বাঁধা কপি ৮০, কাঁকরোল ১০০, গাজর ২০০, বেগুন ১৩০, ধনেপাতা ৪০০, কাঁচামরিচ ৬০০। এ ছাড়াও অন্য সবজিও প্রায় ১০০ ছুঁই ছুঁই দরে বিক্রি হচ্ছে।
দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ডলার সংকট!
তবে এই মাত্রা ছাড়া দামের পিছনে সরকারের বিদেশি মুদ্রার টানাটানিও একটা কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ডলার সংকটের মোকাবিলায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশি টাকা ও ভারতীয় রুপিতে রপ্তানি-আমদানি শুরু হয়েছিল। কিন্তু ইউনুস সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমেরিকার চাপে ফের ডলারে বাণিজ্য শুরু করেছে। এখন ডলারের সংকটে জেরবার হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।