কলকাতা: দফায় দফায় অশান্ত হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। রীতিমতো হিংসার আগুনে জ্বলছে বাংলাদেশ। চলমান হিংসার কারণে এখনো অবধি প্রায় ১০০ জন মতন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া প্রাণ গিয়েছে বহু পুলিশকর্মীরাও। তবে এবার হিংসার শিকার হলেন এক সরকারি আধিকারিক। জানা গিয়েছে, রংপুর সিটি করপোরেশনের হিন্দু কাউন্সিলর হারাধন রায় হারাকে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, বেছে বেছে বিক্ষোভকারীরা ইসকন ও কালী মন্দিরসহ হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দির টার্গেট করছে। জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে মন্দির। রীতিমতো প্রাণভয়ে দিগ্বিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে ছুটছেন সাধারণ মানুষ।
হিংসার আগুনে জ্বলছে বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রীতিমতো হিংসার হিংসার আগুনে জ্বলছে ওপার বাংলা। মূলত প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা ও তার সরকারের পদত্যাগ ঘিরে এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের এই অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়েছে। রীতিমতো মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছে সে দেশে। এদিকে মৃত হারাধন রায় পরশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সদস্য ও রংপুর মহানগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। কাজল রয় নামে আরো একজন হিন্দু কাউন্সিলরও বাংলাদেশে খুন হয়েছে বিক্ষোভকারীদের হাতে বলে খবর।
করফিউ জারি
দেশজুড়ে নতুন করে করফিউ জারি করা হয়েছে। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে হাজার হাজার বাংলাদেশি বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে এসেছেন। গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কারফিউ কার্যকর হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। ব্যাংকসহ সব প্রতিষ্ঠান তিন দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তবে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা যেমন হাসপাতাল, জল, গ্যাস এবং বিদ্যুতের মতো অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবাগুলি অনির্দিষ্টকালের জন্য চালু থাকবে।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছে, সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণ গিয়েছে একদিনে। রবিবার হিংসায় বাংলাদেশে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৩০০ জনে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ, আধিকারিক এবং হাসপাতালের চিকিৎসকদের রিপোর্টের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় বিপুল সংখ্যক সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের বিভিন্ন সড়কে ব্যাপক সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে শেষ হওয়া খবর অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী বাসভবনেও গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছে।
দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা
জানতে পাড়া যাচ্ছে যে শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সেইসঙ্গে বোন রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে গণভবন ছেড়েছেন। এমনকি দেশও নাকি ছেড়ে দিয়েছেন। তাঁর গন্তব্য দিল্লি নয়তো আগরতলা হতে পারে। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মূর্তিও ভাঙা হচ্ছে বলে খবর। ইতিমধ্যে নানা ভিডিও ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে যাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।