প্রীতি পোদ্দার, হংকং: ভয়ংকর বিপদ ঘটল! বিমান অবতণের সময়ে রানওয়ে থেকে হঠাৎ পিছলে সমুদ্রে পড়ে গেল পণ্যবাহী বিমান। ঘটনাটি ঘটেছে হংকং (Hong Kong) বিমান বন্দরে। জানা গিয়েছে দুর্ঘটনার সময় সামনে থাকা একটি গাড়িতেও সজোরে ধাক্কা লাগে বিমানের এবং সোজা গিয়ে পড়ে পাশের সমুদ্রে! তবে যাত্রিবাহী বিমান না-হওয়ায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। কিন্তু শেষ আপডেট অনুযায়ী জানা গিয়েছে এই ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেলেও অন্যজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
রানওয়ে থেকে পিছলে গিয়ে বড় বিপদ
হংকং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুবাইফেরত এমিরেট্স এয়ারলাইন্সের পণ্যবাহী বিমানটি আজ সোমবার হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভোর ৩টে ৫০ মিনিটে অবতরণের কথা ছিল। সেই বিমানে ছিলেন পাইলট-সহ চার জন বিমানকর্মী। সমুদ্র থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু অবতরণের সময়ে রানওয়ে থেকে পিছলে গেল পণ্যবাহী বিমান। সোজা গিয়ে পড়ল পাশের সমুদ্রে। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনার কয়েকটি ছবি এবং ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, কার্গো ফ্লাইটটির একটি অংশ সমুদ্রে ডুবে গিয়েছে। নৌকায় চড়ে বিমানের কাছে পৌঁছেছেন উদ্ধারকারীরা। উদ্ধারকাজ চলছে।
দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২ জনের
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। যেখানে জানানো হয়েছে যে, আজ ভোরে আবহাওয়া কিছুটা খারাপ ছিল। আর সেই কারণে কার্গো ফ্লাইটটি সঠিক ভাবে অবতরণ করতে পারেনি। এবং নিয়ন্ত্রণের ফলে এটি রানওয়েতে পিছলে যায়। পাইলটও ফ্লাইটের নিয়ন্ত্রণ হারান এবং বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মেরে সেই গাড়ি-সহ বিমান সমুদ্রে গিয়ে পড়ে। ফ্লাইটের সকলেই সুরক্ষিত থাকলেও গাড়ির মধ্যে থাকা দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। গাড়িতে থাকা মৃতদের মধ্যে একজন নাকি বিমানবন্দরের কর্মী ছিলেন। জানা গিয়েছে, কার্গো ফ্লাইটটি ৩২ বছর পুরোনো।
আরও পড়ুন: গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে ‘মধ্যস্থতাকারী’ নিয়োগ কেন্দ্রের! সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মোদিকে চিঠি মমতার
এমিরেট্স এয়ারলাইন্সের তরফে জানানো হয়েছে যে বোয়িং৭৪৭ বিমান পণ্য পরিবহণের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল, আর এটি অন্য একটি বিমান সংস্থার কাছ থেকে নেওয়া। যদিও এটি যাত্রী পরিবহণে ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তবে সম্প্রতি পণ্য পরিবহণের প্রয়োজনে বিমানটিকে নেওয়া হয়েছিল। দুর্ঘটনায় যে সকল বিমানকর্মী ছিলেন বিমানে, তাঁরা সকলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কারও বড় কোনও আঘাত লাগেনি। আপাতত বিমানবন্দরটি বন্ধ রাখা হয়েছে।