গর্বের দিন শেষ! ইলিশ নিয়ে চরম দুঃসংবাদ বাংলাদেশে, হাহাকার পড়তেই দোষারোপ ভারতকে

Published on:

ilish bangladesh ইলিশ মাছ

ঢাকাঃ চলতি বছর ইলিশ মাছ নিয়ে সমস্যা যেন মেটারই নাম নিতে চাইছে না। এমনিতে বাংলা তথা সমগ্র ভারতে পদ্মার ইলিশ রফতানি বন্ধ রয়েছে। যে কারণে বেজায় মন খারাপ ইলিশ প্রেমীদের। কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার, দিঘা মোহনার ইলিশ মাছ বাজারে মিললেও পদ্মার ইলিশের দেখা নেই। আদৌ এই বছর পদ্মার ইলিশ বাংলায় ঢুকবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। তবে এসবের মাঝেই ইলিশ মাছ নিয়ে আরও খারাপ খবর প্রকাশ্যে এল।

ইলিশ নিয়ে বড় দুঃসংবাদ

WhatsApp Community Join Now

আপনিও কি ইলিশ মাছ খেতে পছন্দ করেন? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য। এখন বর্ষার মরসুম চলছে। আর এই মরসুমেই নাকি দেখা নেই ইলিশ মাছের। যে কারণে মহাফাঁপরে পড়েছেন মাছ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মাছ বিক্রেতারা। বাজারে যাও বা ইলিশ মিলছে তা দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বেশি দাম হওয়ায় ক্রেতারাও বাজার থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন। ইলিশের বদলে চিংড়ি, পমফ্রেট, কাতলা, রুই নিয়ে বাড়ি ফিরছেন মাছ প্রেমীরা। এদিকে ক্রেতারা মুখ ফেরাতেই ইলিশ মাছের বাজার একপ্রকার ঠাণ্ডা পড়ে গিয়েছে।

সমুদ্রে যেতে পারছেন না মৎস্যজীবীরা

এদিকে খারাপ আবহাওয়ার কারণে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। মাথায় হাত পড়েছে বাংলাদেশের বরগুনার মৎস্যজীবীদের। সকলের মুখে একটাই কথা, সমুদ্রে, পদ্মায় নামলেও কাঙ্খিত পরিমাণে ইলিশ মাছ জালে উঠছে না। এই বিষয়ে এক মৎস্যজীবী জানাচ্ছেন, ‘অনেক দিন পর সাগরে নামছি, আবহাওয়া খারাপ। তাই দু’দিন ছিলাম সাগরে, মাছ তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। বড় ইলিশের দেখা নেই, ছোট কয়টা যা পেয়েছি। বিক্রি করলে তাতে বাজারের খরচা হবে না। আর যে আশা নিয়ে সাগরে যাওয়া, সে অনুযায়ী বড় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। দু-তিন বছর সাগরে কোনও বড় ইলিশ পাচ্ছি না। মালিকের কাছ থেকে অনেক টাকাও নিয়েছি। যদি সাগরে মাছ পেতাম, তাহলে ধারদেনা শোধ করে সংসার চালাতে পারতাম।’

খালি হাতে ফিরছেন সকলে

বরগুনা জেলায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ২৭ হাজার ২৫০ জন। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে সকলকে। পাইকারি বাজারে এক কেজির চেয়ে বেশি ওজনের ইলিশ মণপ্রতি ৬৫-৭০ হাজার টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৫৫-৬০ হাজার এবং ৭০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৪০-৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে মাছ না পাওয়ার জন্য ভারতীয় মৎস্যজীবীদেরও দায়ী করা হচ্ছে। বাংলাদেশের বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘ধার দেনা করে সাগরে মাছ শিকারে গিয়েছিলেন জেলেরা। সাগরে মাছের সংখ্যা অনেক কমে গেছে, কিছু ট্রলার মাছ পাচ্ছে। বড় কোনও মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। ছোট ছাড়া কিছু মিলছে না। বরগুনা জেলায় অনেক জেলে রয়েছেন, এই ৬৫ দিনের অবরোধে বসে খেতে হচ্ছে। এখন সাগরে মাছ ধরার সময় আবহাওয়া খারাপ। মন্দার বাজার চলছে। ভারতের ট্রলারগুলো বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে অবরোধের সময় মাছ ধরে নিয়ে যায়, এটা বন্ধ করা হলে হয়ত বা আমরা ভালো মাছ পাব।’

সঙ্গে থাকুন ➥