কলকাতাঃ বর্ষাকালে বাঙালির পাতে ইলিশ পড়বে না এটা তো হতেই পারে না। ইতিমধ্যে কলকাতা শহরসহ বাংলার বিভিন্ন জেলায় জেলায় ভালো মতোই ইলিশ মিলছে। তবে এই বছর এখনো অবধি পদ্মার ইলিশের স্বাদ পাননি বাংলার মানুষজন। এই বছর সেই স্বাদ আদৌ পাবেন কিনা সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ আপাতত বাংলাদেশ থেকে ভারতে পদ্মা পাড়ের ইলিশের রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এদিকে রপ্তানি বন্ধ থাকায় ওই দেশে হু হু করে কমছে রুপোলী শস্যর দাম। কিন্তু এই দাম নিয়েই এবার মাথায় হাত পড়ল সেখানকার মাছ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বিক্রেতাদের।
হু হু করে দাম কমছে ইলিশের
আপাতত ভারতে বাংলাদেশে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। যে কারণে বেজায় মন খারাপ। এপার বাংলার সাধারণ মানুষের আদৌ এই বছর বাংলাদেশের ইলিশের তাঁরা পাবেন কিনা সেই নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ এহেন সিদ্ধান্তে রীতিমতো গর্বিত,অন্তত সেখানকার মৎস্য উপদেষ্টার মন্তব্য শুনে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রামের বাজারগুলিতে জলের দরে মিলছে ইলিশ। কিন্তু এই কম দামই রীতিমতো সকলের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
মাথায় হাত মাছ ব্যবসায়ী, বিক্রেতাদের
বিভিন্ন মাছ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মাছ বিক্রেতারা বলছেন ইলিশের দাম কমে যাওয়ায় রীতিমতো তাদেরই ক্ষতি হচ্ছে। আগামী দিনে ভারতকে এই মাছ রপ্তানি না করলে এই দাম আরও কমবে, যে কারণে সকলে ব্যবসায় আরও ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন সকলে।
ভারতে বন্ধ বাংলাদেশের ইলিশের রপ্তানি
নানা ইস্যুকে কেন্দ্র করে এখন দূরত্ব বাড়ছে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বলে মনে হচ্ছে। বিগত কিছু সময় ধরেই লাগাতার হিংসায় কেঁপে উঠেছে বাংলাদেশ। এই ঘটনার আঁচ পড়েছে সুদূর ভারতেও। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে ভারতও। এসবের মাঝেই ভারতে ইলিশ পাঠানো বন্ধ করেছে বাংলাদেশ। আর এরপর থেকে ওপার বাংলায় হু হু করে দাম কমতে শুরু করেছে ইলিশের। বাংলাদেশের মাছ বাজার গুলিতে উপচে পড়ছে ক্রেতা বিক্রেতাদের ভিড়। ক্রেতারা বলছেন আগের তুলনায় মাছ বাজার গুলিতে মাছের সরবরাহ বেশ অনেকটাই বেড়েছে। যে কারণে এখন সকলেই সে মধ্যবিত্ত হোক বা নিম্ন মধ্যবিত্ত সকলেই ইলিশ মাছ কিনতে পারছেন।
ঢাকার বাজারে এক কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৬০০- র মধ্যে। এরইসঙ্গে ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়। সকলেই বলছেন মাছের বাজারে ইলিশের দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা অবধি কমেছে। ফলে সকলের মধ্যেই এখন খুশির হাওয়া বইছে।
