ভারতের বিরুদ্ধে কোনও প্ল্যানই করছে না কাজ! ট্রাম্প ফেরায় ল্যাজেগোবরে পাকিস্তান

Published on:

India-America friendship has become a source of irritation for Pakistan

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: আমেরিকার রাজনীতি খানিকটা স্বার্থভিত্তিক! এমন দাবি বহুবার উঠে এসেছে নানান রিপোর্টে। সূত্র বলছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর এবার সেই স্বার্থ ভিত্তিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানকে একপ্রকার কোণঠাসা করে দিয়েছে আমেরিকা। যেখানে ট্রাম্পের প্রাথমিক শাসনকালে (2017-2021) আমেরিকা তালেবানদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিলে একজন বিশ্বস্ত বন্ধুর ভূমিকা পালন করেছিল পাকিস্তান।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

সেই পাকিস্তানই এখন আমেরিকার জাত শত্রু! যদিও মিত্রকালীন সময়েও পাকিস্তানের দ্বিমুখী নীতির তীব্র সমালোচনা করেছিলেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের সেই উদ্বেগ উপেক্ষা করেছিলেন পাকিস্তানের জেনারেল। কিন্তু বর্তমানে তা আর হচ্ছে না। জনগণের ভোটে ট্রাম্প হোয়াইট হাউজের সিংহাসন দখল করতেই পাকিস্তানের রাজনৈতিক এবং সামরিক নেতৃত্ব এক প্রকার আতঙ্কের দিন কাটাচ্ছে।

ট্রাম্পের মূল লক্ষ্য এখন ইরান

রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের গত প্রেসিডেন্ট মেয়াদে আমেরিকার মূল মাথাব্যথা ছিল তালেবান। তবে ট্রাম্পের বর্তমান শাসনকালে তালেবানকে নিয়ে বাড়তি সময়ে নষ্ট করতে চাইছে না, আমেরিকা। বেশ কিছু রিপোর্ট মারফত খবর, 2020 সালে তালেবানদের সাথে একটি চুক্তির ভিত্তিতে 2021-এ মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করেন ট্রাম্প। জানা যাচ্ছে এবার তিনি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার প্রতি আগ্রহী নন।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

বরং আমেরিকার বর্তমান মাথা যন্ত্রণার কারণ হয়ে উঠেছে ইরান। একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে নিজেদের শক্তি বাড়াতে না পারে তা নিশ্চিত করতেই মরিয়া হয়ে উঠেছেন রিপাবলিকান নেতা তথা আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানা গিয়েছে, ইরানকে আটকাতে ইতিমধ্যেই দেশটির ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা।

ভারত-আমেরিকা যৌথ বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে নাম উল্লেখ পাকিস্তানের

কয়েকটি রিপোর্ট মারফত খবর, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলিকে দমিয়ে রাখতে পাকিস্তানসহ আফগানিস্তানের মত বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদি গোষ্ঠী যুক্ত দেশগুলিকে নজরে রাখবেন ট্রাম্প। তবে বাস্তবিক অর্থে তালিবানদের সাথে আমেরিকার পারস্পরিক সংঘাত থাকলেও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ট্রাম্প পাকিস্তানকে জরাতে চান কিনা সে বিষয় এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তবে গত 13 ফেব্রুয়ারি আমেরিকায় মোদি-ট্রাম্প যৌথ বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদের প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। আর এই ঘটনাটি সামনে রেখেই ক্ষোভ জাহির করেছে পাকিস্তান।

ভারত-আমেরিকা বন্ধুত্বে বিরক্তি প্রকাশ পাকিস্তানের!

ভারত-আমেরিকার যৌথ বিবৃতিতে পাকিস্তানকে নিশানায় এনে বলা হয়, 26/11 মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলা ও পাঠানকোট হামলার সাথে যুক্ত সন্ত্রাসবাদীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনুক পাকিস্তান। একই সাথে দ্বিচারিতা বাদ দিয়ে পাকিস্তান স্বীকার করুক যে তারা সন্ত্রাসবাদীদের যাবতীয় কুকর্মের জন্য নিজেদের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দিচ্ছে। বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদি হামলার জন্য যে পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে এ কথা স্বীকার করুক পাকিস্তান।

আরও পড়ুনঃ অনেকটাই বাড়ল দাম, আজ বাজারে সোনা রুপোর দর কত?

ভারত এবং আমেরিকার যৌথ বিবৃতির পরই ক্ষোভে ফুলে ফেঁপে উঠেছে ভারতের পশ্চিম দিকের দেশ। 13 ফেব্রুয়ারি ট্রাম্প ও মোদির যৌথ বিবৃতি ঠিক পরের দিনই পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই দেশের বিবৃতিতে যা বলা হয়েছে আসলে একতরফা, কূটনৈতিক ও রাজনীতির পরিপন্থী। এক কথায় বলতে গেলে, ভারত ও আমেরিকার বন্ধুত্ব দেখেই এক প্রকার তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছে পাকিস্তান।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group