সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ওপার বাংলার রাজনৈতিক অঙ্গনে হাওয়া এমনিতেই গরম! তার মধ্যে আবারও মুখ খুলে বসলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। এবার তার বক্তব্য, আমরা ভারতের (India Bangladesh) সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। আর ওরা আমাদের প্রতিবেশী। ওদের সঙ্গে সমস্যায় যেতে চাই না। কিন্তু কে জানে, কীভাবে কী হয়ে যায়! হঠাৎ করেই সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়!
বলে দিই, সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ইউনূসের একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ভারত বাংলাদেশের থেকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা কেড়ে নিয়েছে। এমনকি ভারতের স্থলপথ দিয়ে বাংলাদেশের সমস্ত ব্যবসাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার জেরে ওপার বাংলার বস্ত্র শিল্পে ধস নেমেছে এবং এর জন্য চাপেও রয়েছে ওই দেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
ভুয়ো খবরেই যত বিবাদ?
ইউনূসের দাবি, দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়নের মূলে রয়েছে ফেক নিউজ বা ভুয়ো তথ্য। তার কথায়, আমরা শান্ত থাকতে চেষ্টা করি। তবে ইন্টারনেটে এমন কিছু ভুয়ো জিনিস ছড়ায়, যা আমাদের মধ্যে ক্ষোভ আর হতাশা বাড়িয়ে দেয়। আমরা চেষ্টা করি আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে। কিন্তু হঠাৎ করে কোথা থেকে কী হয়ে যায় বুঝতে পারি না!
হাসিনার পতনের পরই টালমাটাল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক…
বলে রাখি, 2024 সালের আগস্ট মাসে ওপার বাংলা থেকে শেখ হাসিনাকে অপসারণ করা হয়। আর সে সময় থেকেই মহম্মদ ইউনূস গদি দখল করে বসে আছে। তারপর থেকে ঢাকা এবং নয়া দিল্লির সম্পর্ক একেবারে সাপে-নেউলে ঠেকেছে। সবথেকে বড় ব্যাপার, ভারতে আশ্রয় নেওয়া হাসিনার আওয়ামী লীগকে 2025 সালের মে মাসে ওপার বাংলায় নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।
এমনকি দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের অভিযোগও করেছিল ইউনূস। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা এবং দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ ঘটে। আর এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের শাসক মহলের তরফ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলা হয়। সেখান থেকে দুই দেশের সম্পর্কে আরও ফাটল ধরে।
নির্বাচন নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না সরকার
তবে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ইউনূস সরকার ঘোষণা করেছে, আগামী 2026-এর এপ্রিল মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি দাবি করেছিল, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভোটের আয়োজন করতে হবে। তবে সেই দাবি আপাতত কিছুটা খারিজ করেছেন ইউনূস।
আরও পড়ুনঃ সমস্যার ইতি! স্মার্ট মিটার বাতিল করল রাজ্য সরকার, যাদের বাড়িতে আছে, তাঁদের নিয়েও বড় ঘোষণা
বলে রাখি, মহম্মদ ইউনূসও কিছু কম যায় না! তিনি সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করে এসেছিল, যা দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের হাওয়াকে আরও গরম করে তুলেছিল। ইউনূসের এইসব একের পর এক কুকীর্তি, কুমন্তব্যের জেরে দুই দেশের সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকেছে।
এদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বিরোধী দলগুলোর উপর দেশটির সংবাদমাধ্যম কড়া নজর রাখছে। তবে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ইউনূস জানিয়ে দিয়েছেন যে, তার প্রশাসনের মূল লক্ষ্য সংবিধানসম্মত নির্বাচন এবং দেশের স্বচ্ছতাকে নিশ্চিত করা। এখন দেখার, দুই পড়শি দেশের সম্পর্ক আবারও জোড়া লাগে কিনা।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |